নেপালে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ অথবা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও, কয়েক দশক ধরে নেপালে যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল তারও পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। শনিবার কাঠমান্ডুতে সিমরিক এয়ারের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রামেশ্বর থাপার লেখা ‘ইন টু দ্য ফায়ার’ শিরোনামের এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন ওলি।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত নেপালের প্রধানমন্ত্রী, এবার কী হবে?
সিপিএন-মাওবাদী সেন্টারের চেয়ারপার্সন পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড সম্প্রতি ওলির নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকারকে নিশানা করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে শিক্ষা নিতে বলেছিলেন। উল্লেখ্য, নজিরবিহীন সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রায় দুমাস ধরে কোটা বিরোধী বিক্ষোভের ফলে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়। প্রচণ্ডের সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওলি বলেন, ‘আমি নেপালে বিদ্রোহের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা দেখছি না।সরকার এই ধরনের কার্যকলাপ আর হতে দেবে না।’ এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো নেপালের পরিস্থিতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান। ওলি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নেপাল কোনও দেশের জেরক্স কপি নয়। তাই এখানে এই ধরনের কিছু হবে না।
ওলি উল্লেখ করেন, ’আমাদের নিজস্ব পরিচয় আছে। আলাদা সভ্যতা ও সংস্কৃতি আছে। তাই বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘটেছে তা নেপালে হতে পারে বলে অনুমান করার কোনও মানে নেই। আমি তাদের বলতে চাই যারা আমাদের অন্যদের থেকে শিখতে, নিজের জন্য শিখতে পরামর্শ দেয়। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক অর্জনকে আরও শক্তিশালী করে তুলব।’
রাজতন্ত্রপন্থী শক্তির দিকে নিশানা করে ওলি বলেন, ‘যারা বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের আমাদের ভয় দেখানোর দরকার নেই। এখন নেপালে তাদের কোনও স্থান নেই, যারা বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য এবং সহিংসতা সৃষ্টি করতে চায়। ’
তিনি বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘অন্যের অধিকার খর্ব বা নৈরাজ্যবাদের প্রচার করে এমন কোনও কর্মকাণ্ড সরকার বরদাস্ত করবে না।’