বৃহস্পতিবার যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী পিম্মাসানি চন্দ্র শেখর রাজ্যসভায় জানান, টেলিকমিউনিকেশনস অ্যাক্ট ২০২৩-এ টেলিকম নজরদারির কোনও সংস্থান নেই।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নূরের একটি প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা গোটা বিষয়টিকে অদ্ভুত বলে মনে করেছেন। কারণ ২৬ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই আইনের ২০ নম্বর ধারা জাতীয় নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কারণে বাধা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
'যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর সংসদীয় প্রতিক্রিয়া বিস্ময়কর, কারণ ২০ অনুচ্ছেদে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বাধা দেওয়ার স্পষ্ট বিধান রয়েছে। দিল্লির ব্যানার্জি অ্যান্ড গ্রেওয়াল অ্যাডভোকেটসের অংশীদারি প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০২৩ সালের বিধিতে নজরদারির কোনও সংস্থান নেই বলে রাজ্যসভায় যে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, বিশেষত যখন তিনি স্বীকার করেন যে ২০ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
ইন্টারসেপশন নজরদারির একটি অংশ বলেই মনে করা হয়। দুটোকে আলাদা করা যাবে না, ব্যাখ্যা দেন প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডিজিটাল অধিকার সংগঠন ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রতীক ওয়াঘরেও এ বিষয়ে একমত। টেলিকম নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই বলে মন্ত্রকের অবস্থান বিভ্রান্তিকর। টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৩-এর ২০(২) ধারায় ১৮৮৫ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্টের ৫(২) ধারার মতো ইন্টারসেপশন ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টেলিগ্রাফ আইন বাতিল হলেও টেলিযোগাযোগ আইনের ৬১ ধারায় বলা হয়েছে, টেলিগ্রাফ আইনের অধীনে প্রণীত বিধি-বিধান বলবৎ থাকবে।
মৌসম বেনজির নূর টেলিকম আইনের অধীনে ‘টেলিকম নজরদারি’ অর্ডার করতে পারে এমন অনুমোদিত সংস্থাগুলির একটি তালিকাও চেয়েছিলেন এবং আইন অনুসারে তদারকি ব্যবস্থা যা সুরক্ষা সংস্থাগুলির দ্বারা টেলিকম নজরদারির অপব্যবহার বন্ধ করতে পারে।