মণিপুরে হিংসা নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। তবে পদত্যাগের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের সহায়তাই আগামী ৬ মাসের মধ্যে মণিপুরে সম্পূর্ণরূপে শান্তি ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসা নিয়ে বীরেনের সঙ্গে এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক মোদীর, কী কথা হল দু'জনের?
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বীরেন সিং স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর পদত্যাগ করার কোনও ইচ্ছে নেই। তিনি বলেন, ‘কেন আমি পদত্যাগ করব? আমি কি কিছু চুরি করেছি? আমার বিরুদ্ধে একটিও কেলেঙ্কারি আছে? আমি কি দেশ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছি? রাজ্যকে বেআইনি অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচিয়েছি। আমার কাজ মণিপুর এবং মণিপুরের মানুষকে রক্ষা করা। পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই আসে না।’ এদিকে, শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কত সময় লাগতে পারে? সেবিষয়ে জানতে চাইলে, বীরেন ইঙ্গিত দেন যে আলোচনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং অন্যান্য সংস্থা শান্তি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মণিপুর পরিদর্শন করেছেন ভারতের সেনা প্রধান। তিনি হিংসা নিয়েও বীরেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। মণিপুরে শান্তি ফিরে আসার প্রসঙ্গে বীরেন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে খব বেশি সময় লাগবে না। ৫-৬ মাসের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। আমি এবিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে থেকে কুকি-জো এবং মেইতি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২২৬ জন নিহত হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হিংসাও কিছুটা কমে যাওয়ায় মেইতি-অধ্যুষিত ইম্ফল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। রাস্তায় যান চলাচল এবং দোকানগুলি পুনরায় বসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, মণিপুরে এই পরিস্থিতির পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে যাননি। তার জন্যও বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে বীরেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি আসবেন না এটাকে মানুষ ইস্যু বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো আসেননি। কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী প্রাযই মণিপুর সম্পর্কে কথা বলেছেন। এমনকী স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকেও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মণিপুর নিয়ে কথা বলেছেন। নিরাপত্তা, তহবিল ইত্যাদি ক্ষেত্রে যা কিছু করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র তাঁর নেতৃত্বেই। একটি জটিল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আসার প্রয়োজন ছিল না।’
এছাড়াও, কুকিদের আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মণিপুর একটি ছোট রাজ্য। একটি পরিশ্রমী রাজ্য। আমাদের পূর্বপুরুষদের ২০০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই রাজ্য করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে তৈরি হয়েছে। এই রাজ্য কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না। আমরা এটির অনুমতি দেব না।’
![Haryana and JNK Election](https://images.hindustantimes.com/bangla/static/images/hrjk-election-web.gif)
![Haryana and JNK Election](https://images.hindustantimes.com/bangla/static/images/hrjk-election-mweb.gif)