অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা তাঁর স্বামীর অনুমতি না নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন স্বামী। নিম্ন আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সায় দিলেও এলাহাবাদ হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, স্বামীর অনুমতি না নিয়ে স্ত্রী বাপের বাড়ি গেলে তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। এমনটাও নয় যে স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছে।
নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যান স্ত্রী। এই মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল ও বিচারপতি কৃষান পাহাল জানান, ‘মামলাকারী তাঁর বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন বলে এমনটা নয় যে সে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অনুমতি না নিয়ে মামলাকারী যে তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়েছে, তাতে সে কোনও অন্যায় করেনি। পালিয়েও যায়নি।’ একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, মামলাকারী যে কাজ করেছেন, তাতে প্রমাণিত হয় না যে তিনি পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনও অপরাধ করেছেন। বিশেষ করে যেখানে তাঁর বাপের বাড়ি ৪০০ মিটার দূরে সেখানে মনেই হয় না যে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। যখন মামলাকারী তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে, তখন সে অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন।
একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ের সমালোচনা করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, মামলাকারীর স্বামী তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের পিটিশনে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাঁকেই ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করে তথ্য প্রমাণ যাচাই না করেই রায় দিয়ে দিয়েছি। এরপরই হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, বিবাহ বিচ্ছেদের এই মামলা কোনওভাবেই আদালতগ্রাহ্য নয়। নিম্ন আদালত স্ত্রীকে ভরনপোষণের জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। আর ছোট্ট মেয়েকে মাসে ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের তরফে স্ত্রীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা ভরনপোষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।