সোমবার রাতেই জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই করোনা টিকা তৈরির কাঁচামালের পাঠানো নিয়ে পদক্ষেপ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই ওয়াশিংটনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে কোনওদিনই কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাদের দাবি, কাঁচামাল নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এরপরই 'বাকি' অর্ডার ভারতে পাঠানোর বার্তা দেওয়া হয়।
সরকারি সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সব রকম ভাবে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই আবহে মার্কিন মুলুকের ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট নিয়ে ধারণা স্পষ্ট করতে মুখ খোলে বাইডেন প্রশাসন। বলা হয়, ডিপিএ লাগু করা মানে নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং মার্কিন উত্পাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
এর আগে রবিবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ৪৫ মিনিট ধরে ফোনে আলোচনা হয়। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানা যায় যে শীঘ্রই ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাঁচামাল, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, পিপিই কিট এসে পৌঁছাবে ভারতে।
এরপরই সোমবার রাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সূত্রের খবর, মূলত কোভিট টিকা তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ সংক্রান্ত টানাপোড়েন নিয়েই আলোচনা হয় দুই নেতার।
এই ফোনালাপের পরই যাবতীয় টানাপোড়েন শেষ হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। ভারতকে ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাঠানোর কথা ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পরে এই নিয়ে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হল। উভয় দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম। ভারতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।'
মোদী আরও জানান, করোনার টিকার কাঁচামাল এবং ওষুধ সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। মোদীর বিশ্বাস, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব করোনার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।