অসমের দরং জেলার ঢলপুর অঞ্চলে কয়েক মাস আগেই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঢালপুরেই নভেম্বরে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালায় অসম পুলিশ। ঘটনার উপর একটি স্বাধীন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে উচ্ছেদ অভিযানে বিতারিত পরিবারগুলি অবৈধ অভিবাসী বা জমি দখলকারী ছিল না। এর আগে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অভিযোগ ছিল, ঢলপুরের বিতারিত পরিবারগুলি অবৈধ অভিবাসী বা জমি দখলকারী ছিল।
গুয়াহাটি-ভিত্তিক সেন্টার ফর মাইনরিটি স্টাডিজ, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিএমএসআরডি) 'ঢলপুর-দ্য ট্রুথ বিহাইন্ড' সমীক্ষাটি করেন ১৪ জন। ১৫ দিন ধরে এই এলাকায় থেকে এই সমীক্ষাটি করেছিল এই ১৪ জন। ৯৬৩টি উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের মধ্যে ৫১৭ জনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন। এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশের পরই বিজেপি সরকার বলে যে এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে অসুবিধা থাকলে সিএমএসআরডি আদালতে যেতে পারে।
সরকারের দাবি, ঢলপুরে ৭৭ হাজার ৪২০ বিঘা সংরক্ষিত জমি রয়েছে। তবে বিগত প্রায় দুই দশক ধরে ওই এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বেআইনি দখল উচ্ছেদ করতে গেলেই বিপত্তি ঘটেছিল দেড় মাস আগে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর তাদের লক্ষ্য করে জনতা ইট ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এতে ৯ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশও। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় দুই জন। দরংয়ের চর অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বসবাস করছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা। তবে মূলত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার এই অঞ্চল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করেন। অভিযোগ উঠেছে, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এখানে এসে বসবাস করছিলেন।