তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও আজ চণ্ডীগড়ে যাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় যে কৃষকরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সেখানে দেখা করবেন কেসিআির৷ এদিন তাঁর সফরকালে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও সঙ্গে থাকবেন। এর আগে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদের সঙ্গেও দেখা করেন কেসিআর। মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্টের অঙ্ক কষতেই কেসিআর-এর এই উত্তর ভারত সফর।
এদিন চণ্ডীগড়ে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেবেন কেসিআর। এদিকে কে চন্দ্রশেখর রাও-এর চণ্ডীগড় সফরের একদিন আগেই পঞ্জাবের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় সিংলা কৃষকদের আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো মানসার পাঁচ জনের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেন।
এদিকে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে রাওয়ের বিরুদ্ধে 'দ্বিচারিতা' করার অভিযোগ এনেছে তেলাঙ্গানা কংগ্রেস। তেলাঙ্গানা কংগ্রেসের মুখপাত্র দাসোজু শ্রাবণ বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে আট হাজারেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সেদিকে দৃষ্টি নেই কেসিআর-এর। কংগ্রেসের প্রশ্ন, তিনি (কেসিআর) যদি কৃষকদের নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হন তবে কেন তিনি এর আগে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনকে সমর্থন করেছিলেন?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেসিআর একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কতকটা মমতার ভঙ্গিতেই। এদিকে রাজ্যে তাঁর প্রধান বিরোধী প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। এই আবহে তিনি কংগ্রেসকে তোপ দেগেই বিজেপি বিরোধিতার পথে হেঁটেছেন। এদিকে বিজেপি ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করছে তেলাঙ্গানায়। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে তিনি বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলের থেকে কড়া টক্কর পাবেন, তা বুঝতে পেরেছেন কেসিআর। এই আবহে তিনি নিজ রাজ্যের সরকার ধরে রাখতে মমতার মতোই প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। এদিকে দিল্লি সফর সেরে কেসিআর কর্ণাটকে গিয়ে জেডিএস প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার সঙ্গেও দেখা করবেন। ধারাবাহিক ভাবে বিজেপি বিরোধী অ-কংগ্রেসি নেতাদের সঙ্গে কেসিআর-এর সাক্ষাতের নেপথ্যে আইপ্যাকের ভূমিকা থাকতে পারে বলেও মত বিশ্লেষকদের একাংশের।