রাজস্থানে ট্রায়ালে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগ তুলল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। টুইটারে এ বিষয়ে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব।
টুইটারে অশ্বনী বৈষ্ণব লিখেছেন, 'কোটা-নাগদা রুটে ঘণ্টায় ১২০/১৩০/১৫০ এবং ১৮০ কিলোমিটার বেগে বন্দেভারত-টু-এর স্পিড ট্রায়াল শুরু হয়েছে।'
এখন এই একই রুটে এক দিনে দ্রুতগামী ট্রেন বলতে শতাব্দী এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের বদলেই নয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানো হবে।
তবে ট্রায়ালে ১৮০ কিলোমিটার বেগে চললেও, সেটাই সর্বোচ্চ গতিবেগ, তা কিন্তু নয়। রেলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্র্যাক এবং সিগন্যাল একেবারে সঠিকভাবে তৈরি হবে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি উঠতে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা হল, বন্দে ভারতে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই যাত্রী বহন করার ক্ষমতা থাকছে। মোট ১৬টি কোচ। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শতাব্দীর তুলনায় যাত্রা আরও বেশি আরামদায়ক। সেই সঙ্গে অনেক বেশি নিরাপদও। ফলে যাত্রী সংখ্যা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বন্দে ভারতের এই দ্রুত গতিবেগের পিছনে তার ‘এয়ারোডায়নামিক’ নকশার প্রভাব রয়েছে। জাপানের বুলেট ট্রেনের মতো সামনের অংশটি।
রেল জানিয়েছে, ট্রায়াল রান শেষ হওয়ার পর তার রিপোর্ট রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে। নিরাপত্তা কমিশনারের সবুজ সংকেত এলেই, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়ালের দৈর্ঘ্য বাড়ানে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ের মধ্যে বন্দে ভারত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।