আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ, চলতি বিভীষিকার মাঝেই দাবি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টার

ডঃ রাঘবন এদিন বলেন, ‘যে হারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ফেজ ৩ আসতে বাধ্য। তবে তৃতীয় ঢেউ কখন আসবে তা স্পষ্ট নয়।’

করোনা নমুনা পরীক্ষা (প্রতীকী ছবি, সৌজন্যে হিন্দুস্তান টাইমস)

দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই তৃতীয় দফার করোনা বিভীষিকার ভবিষ্যদ্বাণী করলেন কেন্দ্রের বিজ্ঞান উপদেষ্টা ডঃ কে বিজয়রাঘবন। এদিন সংবাদমাধ্যমকে ডঃ রাঘবন এদিন বলেন, 'তৃতীয় ঢেউ আসবেই।' 

এই আবহে ডঃ রাঘবন এদিন বলেন, 'যে হারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ফেজ ৩ আসতে বাধ্য। তবে তৃতীয় ঢেউ কখন আসবে তা স্পষ্ট নয়। আশা করা যায়, ধীরে ধীরে আসবে। কিন্তু আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এবং আমাদের ভ্যাকসিনগুলিকে আরও আপডেট করতে হবে।'

দেশে ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিভীষিকার আকার ধারণ করেছে। গত ১৪ দিন ধরে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩.৮২ লক্ষ মানুষ। করোনায় প্রাণ গিয়েছে আরও ৩ হাজার ৭৮০ জনের। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ২২৯।

এদিকে রাজ্যগুলির মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সেরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮০ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৮৯১ জনের। সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই আছে কেরল, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে ৪৪ হাজার ৬৩১ জন, কেরলে ৩৭ হাজার ১৯০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। 

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ২ কোটি ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৪৮। করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ১৮৮। এখনও পর্যন্ত করোনাকে জয় করে সেরে উঠেছেন ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৩১ জন। এই পরিস্থিতিতে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬ কোটি, ৪ লক্ষ, ৯৪ হাজার, ১৮৮ জনের৷