গত কয়েকদিন ধরে 'লুই ভিটন' লিখে গুগলে সার্চ দিলেই চলে আসছে মহুয়া মৈত্রের খবর। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার সময়ে নাকি নিজের দেড় লাখি ব্যাগ লুকিয়ে ফেলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর তাই নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
এবার আরও এক কাণ্ড! অন্য ব্যাগ নিয়ে সংসদে প্রবেশ করছেন মহুয়া মৈত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল পোস্ট করেছিল এক সংবাদমাধ্যম। ক্যাপশনে লেখা, 'হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে বিতর্কের পর নিজের ফ্যাশান সেন্স বদলালেন মহুয়া।' ভিডিয়োতে তাঁকে একটি ছাই রঙের মার্সিডিজ জি ওয়্যাগন থেকে নামতে দেখা যাচ্ছে। আর তাদের টুইটেই জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
তিনি জানান যে, এটিও একটি লুই ভিটনের ব্যাগ। কটাক্ষের পাল্টা কটাক্ষ দিতে ছাড়লেন না তিনি। তির্যক সুরে তিনি আরও জানান, গাড়িটি একটি জি ওয়্যাগন। অন্ধপ্রদেশের নম্বর প্লেটের। সেখানকার এক সাংসদের গাড়ি এটি। আপনাদের গোয়েন্দাগিরির খাটনি বাঁচিয়ে দিলাম।
গত সপ্তাহে, লোকসভার অধিবেশনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয় যে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এদিকে তিনি নিজে দেড় লাখের ব্যাগ নিয়ে বসে ছিলেন। দাবি তোলা হয় যে, তিনি ক্যামেরা থেকে লুকিয়ে ফেলতে তাঁর লুই ভিটনের ব্যাগ টেবিলের তলায় রেখে দেন।
এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। দুই ধরনের বক্তব্য উঠে আসে:
১. মূল্যবৃদ্ধির মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে একজন সাংসদ নিজে কীভাবে এত বিলাসিতা প্রদর্শন করতে পারেন? তিনি আমজনতার উপযুক্ত প্রতিনিধি কিনা, তাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
২. অপর পক্ষের কথায়, মহুয়া মৈত্র এক সময়ে পশ্চিমী দেশে জে পি মর্গ্যানের মতো বড় সংস্থায় ছিলেন। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের মতো পদে দাপিয়ে কাজ করেছেন। সেই সময়ে তাঁর বিপুল বেতন ছিল। তাছাড়া বর্তমানে সাংসদ হিসাবেও মোটা টাকা ভাতা পান। ফলে নিজের আয়ের টাকায় যদি তিনি কোনও বিলাস সামগ্রী কেনেন, তা তাঁর শখ ও ফ্যাশান রুচিবোধের পরিচয়। বিজেপি, কংগ্রেসের সংসদদেরও এমন অনেক বিলাস সামগ্রী আছে বলে উল্লেখ করেন অনেকে।
এর মধ্যে আপনার কোন যুক্তিটা সঠিক মনে হয়?
মহুয়া নিজে যদিও এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। এর আগেও তাঁঁর ব্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বিতর্কের পর ব্যাগটি নিয়ে তাঁর সংসদে আসার ছবির কোলাজ পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানেও নরেন্দ্র মোদীর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।