অফিসে গিয়ে একটু আধটু ফাঁকি দিয়ে কাজ করতে অনেকেই পছন্দ করেন! অনেকের কাজের ক্ষেত্রে আবার অফিসে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রবল 'আলস্য'!তবে এমনও কিছু কর্মী রয়েছেন, যাঁরা ন্যায্য কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিকটি নিতে পছন্দ করেন। অনেকেই হন কর্মমুখর। তেমনই একজন ডেরমন্ট অ্যালাস্টেয়ার মিলস। তিনি পেশায় একজন রেল কর্মী। আর তাঁর জীবনে ঘটছে আজব ঘটনা, অন্তত মিলসের এমনটাই দাবি।
অ্যালাস্টেয়ার মিলসের দাবি, তিনি অফিসে যান, রোজ কাগজ পড়েন, স্যান্ডুইচ খান আর বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর বার্ষিক বেতন, ১২৬,০০০ মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মূল্যে প্রায় আকাশ ছোঁয়া। এই বক্তব্য আদালতে জানিয়েছেন অ্যালাস্টেয়ার। আর এই ঘটনা ঘটছে আয়ারল্যান্ডে। অ্য়ালাস্টেয়ার কর্মরত আইরিশ রেল সংস্থায়। তাঁকে ঘিরে মামলা চলছিল আইরিশ আদালতে। তিনি সেদেশের 'প্রোটেক্টেড ডিজক্লোজার অ্যাক্ট ২০১৪' ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আদালতে, জানিয়েছেন, তাঁকে তাঁর অফিসের বেশিরভাগ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলছেন, 'অফিসের কোনও কাজে যদি আমাকে লাগে সপ্তাহে অন্তত একবারও, তাহলে আমি ধন্য হব।' উল্লেখ্য, আইরিশ রেলের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছেন সেখানেরই কর্মী অ্যালাস্টেয়ার। তিনি আইরিশ রেলের আর্থিক কিছু তছরুপ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। মূলত অ্যালাস্টেয়ার হয়ে ওঠেন আইরিশ রেলের কাছে একজন 'হুইস্টেল ব্লোয়ার'। এরপর থেকেই আইন আদালত শুরু হয়েছে।
'কেউ আমায় রাক্ষস বলছেন, কেউ আরশোলা বলছেন', মোদী ফুঁসে উঠলেন 'রাবণ' মন্তব্যে
তবে,আইরিশ রেল সংস্থা তাদের গোপনীয় তথ্য পেশ করেছে একটি নিরাপদ উপায়ে। যেখানে বাইরের কারোর কাছে কোনও তথ্য প্রকাশিত হয়নি, তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, অ্যালাস্টেয়ারকে এই মামলায় কোনও মতেই জরিমানা করা হবে না। এদিকে, অফিসে গিয়েও কোনও কাজ করতে পারছেন না অ্যালাস্টেয়ার। বলা ভালো, তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না কোনও কাজ! আদালতে অ্যালাস্টেয়ার বলছেন,'আমি রোজ দুটি নিউজপেপার কিনি। একটি 'দ্য টাইমস' অন্যটি 'দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট' আর কিনি একটা স্যান্ডউইচ। আমি নিজের কিউবিকলে চলে যাই, আমি কম্পিউটার খুলে বসি। আমার কাজের সঙ্গে জড়িত কোনও ইমেল খুঁজে পাইনা। কোনও মেসেজ নেই, কোনও সংযোগ নেই, কোনও সংযোগ নেই কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা নেই।' আপাতত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ফেব্রুয়ারি মাসে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সময় আদালত কী রায় দেয় সেদিকে তাকিয়ে আয়ারল্যান্ড।