ছ'মাস আগে প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৪৭ টাকা। যা আজ (বুধবার) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮.৪ টাকা (ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে দুপুর ১ টা ২ মিনিট পর্যন্ত)। শুধু তাই নয়, গত এক বছরে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার পোর্টফোলিও স্টক ডেল্টা কর্প থেকে প্রায় ১৫০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মৌলিক এবং কার্যগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এখনও ডেল্টা কর্প নিয়ে আশাবাদী শেয়ার বাজার। দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ ঘিরে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা থেকেও অনেকটা বেরিয়ে এসেছে জাতীয় অর্থনীতি। বড়দিন এবং নববর্ষের আগে সংস্থার হসপিটালিটি এবং ক্যাসিনোর ব্যবসা আরও লাভের মুখ দেখবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ডেল্টা কর্পের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩০৫ টাকার উপরে যদি কিছুদিন থেকে যায়, তাহলে আরও বেশি রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ আরও দাম বাড়বে শেয়ারের।
চয়েস ব্রোকিংয়ের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুমিত বাগাড়িয়ার আশা, আরও বাড়বে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার পোর্টফোলিও স্টক ডেল্টা কর্পের শেয়ারের দাম। আপাতত বাজারের হিসাব অনুুযায়ী, ইতিবাচক প্রবণতা দেখাচ্ছে ডেল্টা কর্পের শেয়ার। স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে ৩১০ টাকা থেকে ৩২৫ টাকা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ সেই সংস্থায় এখন শেয়ার কিনতে পারেন এবং ২৭০ টাকা যতক্ষণ দাম আছে, ততক্ষণ তাঁরা এই শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে পারেন।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার কত শেয়ার আছে ডেল্টা কর্পে?
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এবং তাঁর স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালার ৭.৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিশেষজ্ঞরা যে মন্তব্য করেছেন বা বিশ্লেষণ করেছেন, তা তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মত নয়।)