যাঁরা বিচারকদের অপমান করেন, তাঁদের কোনও ক্ষমা নেই। এই বার্তা দিয়ে এই মামলায় হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে মধ্যপ্রদেশের এক জেলা আদালতের জাজকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে তা পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় ওই ৬০ বছরের ব্যক্তিকে ১০ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে হাইকোর্ট। আর সেই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল তার পর্যবেক্ষণ।
কৃষ্ণ কুমার রঘুবংশি নামে ওই ব্যক্তি এই মামলায় কাঠগড়ায় রয়েছেন। তাঁর পোস্ট বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতায় হামলা বলে অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ বলছে, ‘নিজের পছন্দ মতো রায় না পেলে তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার জুডিশিয়াল অফিসারকে নিচু করবেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানে শুধু নির্বাহী বিভাগের স্বাধীনতা নয়। এর অর্থ হল বাইরের কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থেকেও বিরত থাকা।’ উল্লেখ্য, ১৯৭১ আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত রয়েছেন রঘুবংশি। তাঁকে এই ধারায় অভিযুক্ত শাস্তি দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। গত ১৫ মে এই রায় দেয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। এর আগে এক জেলা আদালতের জাজ এসপিএস বুন্দেলার বিরুদ্ধে অবমাননাকর পোস্ট করেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি রঘুবংশি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রঘুবংশির বিরুদ্ধে আদালত এক মামলার রায় দিয়েছিল। সেই মামলার জাজ ছিলেন বুন্দেলা। সেই জায়গা থেকেই বুন্দেলার বিরুদ্ধে রঘুবংশির ক্ষোভ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এক ব্যক্তিগত মন্দির পরিচালনা করেন রঘুবংশি। তাঁকে এক মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে তিনি অনুদানগুলি মন্দিরের ট্রাস্টের নামে নেন। এদিকে, সেই নিয়ম পালন না করে, ওই জাজের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনেন রঘুবংশি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি পোস্ট করেন, যে পোস্টে দাবি করা হয় যে ওই জাজ একজন দুর্নীতিগ্রস্ত। তারপরই এই আইনি মামলা যায় রঘুবংশির বিরুদ্ধে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup