প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করার হুমকি মেসেজ পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। মেসেজটি রাজস্থানের আজমেঢ়ে নথিভুক্ত একটি নম্বরের সন্ধান পাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ পুলিশের একটি দল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পাঠায়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
শনিবার সকালে ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইনে পাঠানো হয়েছিল ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। সেখানে দুই আইএসআই এজেন্টের কথা বলা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, যে এই মেসেজ পাঠিয়েছেন, তিনি সম্ভবত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা অ্যালকোহলের প্রভাবে এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। তবে পুলিশ গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাযথ ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশ হেল্পলাইনে এর আগে অসংখ্য ভুয়ো হুমকি বার্তা এসেছে। তবে পুলিশ গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখছে।
তবে এবারই প্রথম নয়, মুম্বই পুলিশের কাছে নানা সময় নানা ধরনের বার্তা আসে।
সলমন খানকে হত্যার হুমকি
গত ১০ দিনে মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের কাছে অভিনেতা সলমন খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে দুটি বার্তা এসেছে। শুক্রবার পাঠানো সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, 'সলমন খান যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে তার উচিত মন্দিরে (রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মন্দির) গিয়ে সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া অথবা ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা। তিনি যদি একই কাজ না করেন তবে আমরা তাকে সরিয়ে দেব। বিষ্ণোই গ্যাং এখনও সক্রিয়।
সলমন খান এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। বিষ্ণোই নিজে খুনের চেষ্টা ও তোলাবাজির মতো মামলায় আহমেদাবাদের সবরমতী জেলে বন্দি থাকলেও এপ্রিল মাসে অভিনেতার বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালায় তার গ্যাংয়ের সদস্যরা।
অভিনেতার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব গুরুতর বলে মনে হচ্ছে না, তবে আমরা এ ধরনের কোনও হুমকিকে হালকাভাবে নিতে পারি না। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তাদের একটি দল সর্বশেষ বার্তা প্রেরককে ট্র্যাক করতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করছে। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, ’মেসেজটি সত্যিই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কিনা বা কেউ নিছক মজা করার জন্য এটি পাঠিয়েছে কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।