বাংলাদেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল ভারতীয় ইসকন। এই নিয়ে ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস সরব হয়েছেন। এই নিয়ে তিনি বাংলাদেশি এক কট্টরপন্থী নেতার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, এক বাংলাদেশি মৌলবাদী নেতা ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন মহম্মদ ইউনুসের সরকারের কাছে। এদিকে সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ক্যাপশনে রাধারমণ দাস লেখেন, 'মহম্মদ ইউনুসের সরকারকে বাংলাদেশি মুসলিমরা আল্টিমেটাম দিয়েছে যে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হলে ভক্তদের ধরে ধরে খুন করতে শুরু করবে তারা।' যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদিকে এই ভিডিয়োতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি মার্কিন রাজনীতিবিদ তুলসী গাবার্ডকেও ট্যাগ করেন রাধারমণ দাস। (আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া রেলপথের 'কাঁটা' এক দিঘি, অনড় ৯১, ৯৫০ মিটারের জন্যে নাছোড়বান্দা রেলও)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে ভারতের বলার দরকার নেই', বললেন ইউনুস সরকারের উপদেষ্টা
আরও পড়ুন: ১০০টি রুট 'হাওয়া', দৈনিক বাসের সংখ্যা ২৫০০ থেকে কমে ৭০০! গলার কাঁটা আরও ১৫০০
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা উলেমা ঐক্য পরিষদ ইসকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিল সম্প্রতি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় এক বাংলাদেশি মৌলবাদী নেতা বলেন, ইসকনকে যদি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে দেশের রাস্তা ঘাটে হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হবে। এই নিয়ে রাধারমণ দাস দাবি করেন, সেই মৌলবাদী নেতা নাকি বলেছেন - 'ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্যে আমরা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি। ইসকন নিষিদ্ধ না হলে ইসকন ভক্তদের গণহত্যার চক্র শুরু করব। হিন্দুদের হাত থেকে বাংলাদেশের পবিত্র ভূমি রক্ষা করতে হবে। এর জন্য আমরা ইসকন সদস্যদের বন্দি করে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করার যজ্ঞ শুরু করব।' (আরও পড়ুন: 'কয়েকজন কুম্ভকর্ণ...', বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ! 'চটলেন' দলেরই নেতাদের ওপরে)
আরও পড়ুন: সামনে বিস্ফোরক ভিডিয়ো, দেরাদুন দুর্ঘটনায় মৃত ৬ পড়ুয়ার পরিবার কেন FIR করেনি এখনও
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চট্টগ্রামের মৌলবাদী সংগঠন হেফাজত-ই ইসলাম ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ডাক দেয়। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি বাংলাদেশি মৌলবাদী নেতার ভিডিয়ো প্রকাশ করে শুভেন্দু লিখেছিলেন, 'ওরা যদি এভাবেই চলতে থাকে এবং ইসকনকে আক্রমণ করার প্ল্যান করে, তবে ওরা যেন তার পালটা পরিণাম মোকাবিলা করার জন্যও প্রস্তুত থাকে। এদের উদ্দেশ্যই ছিল সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো। ওরা কী স্লোগান তুলছে শুনুন মন দিয়ে। ইসকনকে ভাঙার কথা, গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা, আগুন ধরানোর কথা বলছে।' (আরও পড়ুন: 'সাময়িক বঞ্চনার' অবসান, একলাফে ১২% ডিএ বাড়িয়ে কর্মীদের 'বড় উপহার' সরকারের)
আরও পড়ুন: গুরু নানক জয়ন্তীতে আজ কি সরকারি ছুটি? ১৬ নভেম্বরও কি বাংলায় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক?
প্রসঙ্গত গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলি ফেসবুকের ইসকন নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইসকনকে 'জঙ্গি সংগঠনের' তকমা দেন। তাঁর এই পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয় চট্টগ্রামের হিন্দুরা। ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, সেনা পৌঁছয় চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায়। সেই এলাকাটি চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। সেখানে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই নিয়ে এক সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আসে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি)। সেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ সেনার জওয়ানরা নিজেরাই খালি রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছেন।