বন ছেড়ে বেরিয়ে আসা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে দেখতে গিয়ে তাড়া খেয়ে গুরুতর জখম হলেন তিন জন। এঁদের মধ্যে একজনের উপরে চড়াও হয় বাঘটি।
বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মহারাষ্ট্র-মধ্য প্রদেশ সীমান্তের কাছে তুমসার-বপেরা রোডের ধারে একটি মাঠে বসে জিরোতে দেখে বাঘটির কাছাকাছি পৌঁছে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ভিড় এগিয়ে আসতেই ভয় পেয়ে পালটা আঘাত হানে বাঘ।
বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে এই বাঘটিকেই সংরক্ষিত ভাণ্ডারা বনাঞ্চলের বাইরে দেখা গিয়েছিল। এলাকার এক বাসিন্দা সম্ভবত তার দ্বারাই আহত হয়েছিলেন। ঘটনার জেরে গত ১৮ জানুয়ারি সাতটি গ্রামজুড়ে সতর্কতা জারি করে বন দফতর। বাঘটিকে কোথাও দেখা গেলে অবিলম্বে বন দফতরকে জানানোর কথা প্রচার করা হয়। গত সপ্তাহে বন ছেড়ে বের হওয়া বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে অচৈতন্য করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন মুখ্য বনপাল।
মাঠে শুয়ে থাকা বাঘের কাছাকাছি পৌঁছতেই ভিড় দেখে ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করে সে।সামনে পড়ে বাঘের থাবার আঁচড়ে একজন আহত হন। বাঘের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন আরও দুই ব্যক্তি। আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
ভাণ্ডারার উপ-মুখ্য বনপাল বিবেক হোশিং জানিয়েছেন, ‘এ দিন দুপুরে বাঘের খবর পেয়েই দুই পুলিশকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আমাদের দফতরের আধিকারিকরা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। কিন্তু বার বার বারণ করা সত্ত্বেও বাঘের কাছে পৌঁছে যান প্রায় ২ হাজার মানুষ। ভয় পেয়ে পাকা সড়ক ছেড়ে পাশের মাঠে ঢুকে পড়ে আতঙ্কিত বাঘটি। সেখানে তার সামনে এক ব্যক্িত পড়ে গিয়ে বাঘের থাবায় জখম হন। বাঘকে নিশানা করে পাথর ছুড়চতে ছুড়তে পিছু নেয় গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত ওই মাঠ ছেড়ে পালায় বাঘটি।’
অন্য দিকে, বাঘের তাড়া খেয়ে গাছে চড়ে বসা এক গ্রামবাসী তাঁর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখেন। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হলে ভাইরাল হয়ে যায়।
রেঞ্জার গোবিন্দ লুচে জানিয়েছেন, সম্ভবত নতুন বাসস্থান খুঁজতে গিয়ে বন থেকে বাঘটি বেরিয়ে লোকালয়ে এসে পড়েছিল। সাধারণ নিশাচর প্রাণী হলেও খিদের তাড়ায় সে দিনের আলো থাকতেই লোকালয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। বাঘটিকে ঘুম পাড়িয়ে বনে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা এখনও চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।