দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গুলির লড়াইয়ে মৃত তিন জঙ্গি। তারা জইশ-ই- মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য ছিল বলে জানা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আর্মি, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ দল যায় পুলওয়ামার কঙ্গন মুরান গ্রামে। সেখানে হয় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াই। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি এনকাউন্টার হল পুলওয়ামায়।
জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান যে তিনজন জইশ সন্ত্রাসবাদী মারা গিয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাদের মধ্যে একজন হল পাকিস্তানের মুলতানের নিবাসী। আবদুল রেহমান ওরফে ফৌজি খান ২০১৭ থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরে অ্যাক্টিভ ছিল। আইইডি বোমা বানানোতে সে দক্ষ ছিল বলে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের আইজি।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে যেখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল, পুরো এলাকাটি ঘিরে ফের নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু বদলে গুলি চালায় তারা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জঙ্গিদের পরিচয় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করছে না পুলিশ। স্থানীয় জঙ্গি হলে তাদের বাড়ির থেকে অনেক দূরে কবর দেওয়া হচ্ছে। শুধু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের থাকতে দেওয়া হচ্ছে শেষকৃত্যের সময়।
মঙ্গলবার ত্রালে অপারেশনে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় কোনও বিরাম পড়েনি। এখনও পর্যন্ত এই মাস দুয়েকের মধ্যে ৪৪ জন জঙ্গি ও দুই জন সঙী মারা গিয়েছে।