প্রবল বৃষ্টির মাঝে অসমের ডিমা হাসাও জেলায় ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা। সেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জলের পাইপলাই ফেটে অন্ততপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই জলের পাইপলাইন নর্থ ইস্টার্ন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের অংশ। জানা গিয়েছে পাইপের মধ্যে অতিরিক্ত জলের প্রবাহের ফলেই তার বিস্ফোরণ হয়। মূলত প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে থাকে। তারফলেই এই পাইপে জল ঢুকতে শুরু করে। যা ডেকে আনে দুর্ঘটনাকে।
জানা গিয়েছে এমন দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সকলেই নর্থ ইস্টার্ন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের কর্মী। একথা জানিয়েছে অসম পুলিশ। সূত্রের খবর, ১০০ মেগাওয়াটের উচ্চগতি সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোপিলি নদীর উপর গড়ে ওঠে। সেই প্রকল্পের অংশই হল এই পাইপলাইন। সেখানে সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ বিস্ফোরণের ফলে এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটে। উল্লেখ্য, নিপকো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে মেঘালয়ে। আর তার জেরে অসমে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব পড়েছে। অসমের বহু নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় নদীর জলপথে পাথর দাঁড়িয়েছে। ফলে জলের চাপ বাড়ছিল ওই পাইপলাইনে।
নিপকোর নিহত কর্মচারীরা হলেন অনুপম সাইকিয়া (৩৫), সহকারী প্রকৌশলী, জয়ন্ত হাজারিকা (৫৯), সিনিয়র ম্যানেজার এবং ডেমরাজ জোহারি (৩০), একজন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক। নিপকোর এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘ মেঘালয় থেকে প্রবল বেগে জল প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু কখনও কখনও বড় পাথর এবং ভাঙা গাছ অবরোধ সৃষ্টি করছে নদীর চলনপথে। এমতাবস্থায়, কিছু অবরোধের কারণে পাইপলাইন বিস্ফোরণ এবং দুর্ভাগ্যবশত তিন কর্মচারী প্রবাহের নিচে চলে আসেন। দুই ঘণ্টারও বেশি দেরিতে তাঁদের মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়।’ পুলিশ যদিও জানাচ্ছে, জলের পাইপ বিস্ফোরণের পর ওই তিন কর্মীর উপর ভেঙে পড়ে একটি গাছ। যার জেরে মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ঘটনার ১৮ দিন বাদে উদ্ধার হয়েছিল মৃতদেহ। উল্লেখ্য, অসম ও মেঘালয়তে গত ২ দিন ধরে বৃষ্টি সম্পন্ন হয়েছে। বর্ষণের জেরে নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টায়ার রেললাইনের বেশ কয়েকটি ট্রেনের চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।