২৯শে নভেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর সেদিন রাজ্য সভার সমস্ত সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য একেবারে তিন লাইনের হুইপ জারি করল বিজেপি। মনে করা হচ্ছে অধিবেশেনের প্রথম দিনই কৃষি আইন বাতিলের উদ্য়োগ নেওয়া হবে। হুইপে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারকে সমর্থন করার জন্য বিজেপির সদস্যকে উপস্থিত থাকতেই হবে। সেদিন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।
এদিকে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এতদিন আন্দোলন জারি রেখেছিলেন কৃষকরা। আন্দোলনে নেমে প্রাণও গিয়েছে অনেকের। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছিলেন কৃষকরা। বার বার চেষ্টা করেও আন্দোলনকারী কৃষকদের সরাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কার্যত নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। এদিকে ক্রমেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুর চড়াচ্ছিলেন কৃষকরা। নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কার্যত আন্দোলনের চাপে পড়েই কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী এনিয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তবে কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অবশ্য আন্দোলনের রাস্তা থেকে এখনও সরে আসেননি কৃষকরা। তবে বিষয়টি আর ঝুলিয়ে রাখতে চাইছে না গেরুয়া ব্রিগেড। এদিকে বুধবারই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কৃষি আইন বাতিলের বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছে।