সোমবার সকাল ৮টা। স্থানঃ ভারত মায়ানমার সীমান্ত। অসম রাইফেলসের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে তিন জঙ্গির শরীর। অসম রাইফেলসের সঙ্গে গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে মৃত্যু তিন জঙ্গির। ন্যাশানাল সোশ্য়ালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড খাপলাং(NSCN-K-YA) সংগঠনের ছাতার তলায় ছিল এই তিন জঙ্গি। সোমবার সকালে অরুণাচলের লংডিং জেলায় তাদের নিকেশ করেছে অসমস রাইফেলস। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারত মায়ানমার সীমান্তের কাছে ছোট্ট গ্রাম খোগলা। সেখানেই এনকাউন্টারের ঘটনা হয়েছে। লংডিংয়ের ডেপুটি কমিশনার বানি লেগো হিন্দুস্তান টাইমসকে ফোনে জানিয়েছেন, অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার জানিয়ে দিয়েছেন NSCN-K-YAএর তিনজন ক্যাডার এনকাউন্টারে মারা গিয়েছেন।
এদিকে দিন দুয়েক আগেই শনিবার অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার, তাঁর স্ত্রী,৮ বছরের সন্তান ও চারজন জওয়ানের মৃত্য়ু হয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীর অতর্কিতে হানায়। এই ঘটনায় পিপলস লিবারেশন আর্মি ও মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্টের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরের এই ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পড়ে বিভিন্ন মহলে। এরপর জঙ্গি দমনে আরও সক্রিয় হয় অসম রাইফেলস। এরপরেই এদিন অরুণাচলে দুই জঙ্গিকে খতম করল অসম পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় অসম রাইফেলসের তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি। অসম রাইফেলসের জওয়ানদের মধ্যে কেউ এই ঘটনায় জখম হয়েছেন কি না সেটা অবশ্য জানানো হয়নি।