আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড়। প্রতিবাদের ঝড়। এবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। একাধিক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দাবি করেছে আইএমএ।
সেখানে তাদের প্রথম দাবি হল নিরপেক্ষ তদন্ত। আর দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
দ্বিতীয়ত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা।
তৃতীয়ত কর্মস্থলে চিকিৎসকদের বিশেষত মহিলাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা।
আইএমএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পিজি ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত। ক্যাম্পাসের তৃতীয় তলায় সেমিনার হলে এই ঘটনা হয়। আইএমএ জানতে পেরেছে খুনের আগে ধর্ষণও করা হয়েছিল। গোটা দেশের চিকিৎসকরা ওই শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছে।
সেই সঙ্গে আইএমএ জানিয়েছে, আমাদের এয়ারপোর্টে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা আর হাসপাতালে নিরাপত্তা নেই। আমরা বুঝতে পারি না বিমান সংস্থার কর্মীদের উপর কোনও আঘাত নেমে আসলে তার বিরাট ব্যবস্থা হয় কিন্তু চিকিৎসকদের উপর এই ধরনের ব্যবহার হলে এটা হয় না।
আইএমএ জানিয়েছে, গোটা দেশের সমস্ত হাসপাতালকে সেফ জোন হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
সমস্ত সরকারি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প রাখতে হবে।
বড় বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দিষ্ট জায়গায় সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
২৫ রাজ্যের চিকিৎসক ও হাসপাতালে হামলার বিরুদ্ধে আইন রয়েছে। সেই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই রাজ্য সরকারের কাছেও এনিয়ে বিশেষ দাবি করা হয়েছে।
নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।
একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।
চিকিৎসক বিশেষত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে আইএমএর বাংলার প্রতিনিধিরাও এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গেই আরজিকরের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও তোপ দাগছেন। আইএমএর প্রতিনিধি সৌরভ দত্তও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আগে তাঁদের মানসিক স্থিতি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হোক। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েও করা হয়েছে আবেদন। এই মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে আরও সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিক আদালত এই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এরই সঙ্গে আরজি করের এমএসভিপি এবং অধ্যক্ষকে 'ক্রিমিনাল প্রসিডিং'-এ যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি। এছাড়া সমাজ মাধ্যম থেকে মৃতের নাম মোছার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েও করা হয়েছে পৃথক এক জনস্বার্থ মামলা।