মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানো যাচ্ছে না। বরং একের পর এক মিস ফায়ার হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তড়িঘড়ি ত্রিপুরা সফরে পাঠানো হচ্ছে বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে। সূত্রের খবর, সোমবার আগরতলায় আসছেন নয়াদিল্লির তিন হেভিওয়েট নেতা। এই নেতারা হলেন— সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সোনকার, উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক অজয় জামওয়ল এবং অসম–ত্রিপুরা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ শর্মা। আগামী ৩১ অগস্ট ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে।
এত আক্রমণের পরও কেন তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জায়গা করতে পারছে? এই প্রশ্ন এখন ত্রিপুরা বিজেপির মধ্যে। সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ত্রিপুরায় আসবেন এই তিন হেভিওয়েট নেতা। আবার বহু বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। আর এতেই ঘুম উড়ে গিয়েছে বিজেপির। কারণ একঝাঁক বিধায়ক যদি বেরিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাহলে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। অচিরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিপ্লব দেবের শাসন। এই ড্যামেজ রন্ট্রোল করতেই এমন ঝটিকা সফর বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবারই ত্রিপুরায় ফিরছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও। মন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পর তিনি মাত্র একবারই ত্রিপুরায় এসেছিলেন আশীর্বাদ যাত্রা উপলক্ষ্য। বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফণীন্দ্রনাথ শর্মা, বিনোদ সরকার, অজয় জামওয়াল এবং বিপ্লব দেবের সঙ্গে মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে বৈঠক করতে।
নতুন মন্ত্রিসভায় মোট চারজন জায়গা পাবেন। বিজেপি থেকে তিনজন আর আইপিএফটি থেকে একজন জায়গা পাবে বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভায়। এখন প্রশ্ন, এই ত্রয়ী কারা? যদিও তা কেউ খোলসা করেননি। জুন মাসে ত্রিপুরা ঘুরে গিয়েছিলেন বিএল সন্তোষ, অজয় জামওয়াল, ফণীন্দ্রনাথ শর্মারা। তখন ছোট ছোট দল করে বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়করা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়ে জেপি নড্ডার কাছে। এবার মন্ত্রিসভা রদবদলে সেই রিপোর্টের প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কী ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে? উঠছে প্রশ্ন।