মুম্বইয়ের সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি তিন বছর বয়সী চিতা বাঘের মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জাতীয় উদ্যানের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পার করে চিতাবাঘ বেরিয়ে এসেছিল কি না, নাকি কেউ চিতাবাঘকে মেরে সেখানে রেখে দিয়েছে, তা নিয়ে চলেছে জল্পনা। এদিকে, চিতা বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তা নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, কোনও গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়নি। তবে অটোপসি রিপোর্টে ধরা পড়ছে অন্য কিছু। অটোপসি রিপোর্ট বলছে কোনও অতর্কিত ভয় থেকে এমন মৃত্যু হতে পারে। সেক্ষেত্রে খুব উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়ে ভয় পাওয়া থেকেও চিতা বাঘের মৃত্যু হতে পারে। কারণ দেখা যাচ্ছে ওই বাঘের যকৃৎ ফেটে গিয়েছে। ফলে সেই থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে, এসএনজিপির ফিল্ড ডিরেক্টর জি মাল্লিকার্জুন জানিয়েছেন, 'এই পশুর মৃত্যুতে একটি বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
উল্লেখ্য, 'ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া'র তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালের এই পরিসংখ্যান রীতিমতো ভয়াবহ মহারাষ্ট্রের পক্ষে। ২০২১ সালে সারা দেশে যেখানে ৬১৪ টি চিতাবাঘের মৃত্যুর খবর এসেছে, সেখানে মহারাষ্ট্রেই শুধু ১৭৮ টি চিতা বাঘ মারা গিয়েছে। সারা দেশের নিরিখে মহারাষ্ট্রে ৩০ শতাংশ চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা উঠছে। পরিসংখ্যান বলছে, ৯৩ টি চিতাবাঘ শুধু পথ দুর্ঘটনাতেই মারা গিয়েছে।২০২০ সালে এক গর্ভবতী চিতাবাঘ গাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয়।