আজ ভোরে তিব্বতে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের ৫টি দেশে এর কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরে দিল্লি থেকে পূর্ব ভারতের কলকাতা এমনকী উত্তরপূর্ব ভারতেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। আর এই ভূমিকম্পে এবার মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিডাব্লু-র রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয় চিনা মিডিয়া দাবি করছে, ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ওখানে। আরও প্রায় ৬০ জনের মত আহত হয়েছেন। তবে পড়শি নেপালে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের এক এমনই ভূমিকম্পে নেপালে ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'দেশে প্রথম বুলেট ট্রেন ছোটার সময়...', বড় স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী)
আরও পড়ুন: 'চট করে বাংলাদেশে আসবেন…', শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন 'বিপ্লবী' সারজিস?
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ তিব্বতে ৭.১ রিখটার স্কেলে প্রবল ভূমিকম্প হয়। নেপালের গোকর্ণেশ্বরের কাছে লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং তিব্বতের শিগাতসে থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ মিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। এই এলাকাটি নেপাল সীমান্তের খুব কাছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ২মিনিটে। দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে সকাল ৭টা ৭মিনিটে অনুভূত হয় তৃতীয় কম্পনটি। এই তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। মূল কম্পনের পর মোট ৫টি আফটারশক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিব্বতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: '…এর জন্যে আপনাকে সরকারে বসানো হয়নি', ইউনুসকে চাপ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের)
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হবে ৪ জেলায়, এরই সঙ্গে হু হু করে নামবে পারদ, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এদিকে আজ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় অনুভূত হয় এই ভূমিকম্প। আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই আবহে আতঙ্কের জেরে বহু জায়গাতেই মানুষ রাস্তায় এসে নেমে পড়েন। এদিকে আজ ভারতে বিহারের মধুবনি জেলায় বেশ শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এছাড়া উত্তরবঙ্গ, বাংলাদেশের বহু জায়গায় এই কম্পন অনুভূত হয়। নেপাল, ভুটানেও কম্পন অনুভূত হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষ কম্পন অনুভূত করে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় অনুভূত হয় এই কম্পন। এদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও এই কম্পন অনুভূত হয়। তাছাড়া উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বহু জায়গাতেই এই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাঘের আগমন! রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের টাটকা পায়ের ছাপ, গর্জনে ঘুম উড়ল কুলতলির)
আরও পড়ুন: কলকাতা ও সল্টলেকে কোন রুটে বাড়ছে কটা সরকারি বাস? এখনই বা চলে কটা?
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপালের মাটি। সেবারের সেই ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গিয়েছিল সে দেশের একটা বড় অংশ। সেই কম্পনে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও অনেককে তাড়া করে বেড়ায়। এদিকে নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় সেখানেও ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। নেপাল সরকার এই আবহে সতর্ক আছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর তারা পাননি।