পুলিশের উলটানো ব্যারিকেডে ঝোলানো দেহ। দুই হাতই ব্যারিকেডের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা। বাঁ-হাতের কনুইয়ের নীচ থেকে কাটা। ধারেকাছে নেই হাতের কাটা অংশও। গায়ে রক্তের ছিটে লেগে আছে। চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।
এমনই তালিবানি কায়দায় হত্যার নির্দশন দেখল সিংঘু সীমান্ত। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরিয়ানার সোনিপত জেলার কুন্ডলির কাছে সেই তালিবানি কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। তাতে নাম জড়িয়েছে নিহাঙ্গস নামে একটি শিখ গোষ্ঠীর। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুূযায়ী, ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই ব্যক্তি শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননা করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বেধড়ক মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। দেহ পুলিশের ব্যারিকেডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বাঁ-হাতের কনুইয়ের নীচের অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে সেই নৃশংস হত্যা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। একাধিক ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, ঝুলন্ত দেহ ঘিরে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। যাঁরা নিহাঙ্গস নামে একটি শিখ গোষ্ঠীর সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে নিহাঙ্গসদের বিরুদ্ধে এরকম নৃশংসতার অভিযোগ ওই প্রথম ওঠেনি। গত বছর করোনাভাইরাস রুখতে লকডাউনের সময় ‘পাস’ দেখতে চাওয়ায় পঞ্জাবের পাতিয়ালায় এক পুলিশের হাত তলোয়ার দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।