মধ্যপ্রদেশের ভোপালের কোলার রোডের কাছেই রয়েছে ভোজ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জয়ন্ত সোনবলকরের বাংলোতে সদ্য ঘটে গিয়েছে এক হাড়হিমকরা ঘটনা। বাংলোর চারপাশে রয়েছে ২৫ একর জমির সবুজে ঠাসা বনজঙ্গল। রয়েছে একটু দূরেই রয়েছে কালিয়াসোত বাঁধের জলাশয়। শোনা যায়, সেখানে বাঘের অবাধ বিচরণ নতুন ঘটনা নয়। তবে উপাচার্য সোনবলকর যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তা নিঃসন্দেহে হাড়হিম করা কাণ্ড।
অধ্যাপক সোনবালকর বলছেন, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত দেড়টা। সেই সময় আচমকা খুব কাছের কোনও এলাকা থেকে শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল বাঘের গর্জন। ততক্ষণে গার্ডরুমে চলে গিয়েছেন বাড়ির চৌকিদার। এমন সময় বাঘের আওয়াজ শুনে স্বভাবতই ত্রস্ত হন ভোজ মুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর সোনবলকর। এরপরই তিনি চৌকিদারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ওই আওয়াজ আদৌ কি বাঘের? জবাব চৌকিদার জানান যে, কোনও মতেই যেন উপাচার্য ঘর থেকে না বের হন। ওই গর্জন বাঘেরই ,বলে জানায় চৌকিদার। অধ্যাপক বলছেন, এরপর প্রতিদিনের মতো চৌকিদার বাঁশি বাজিয়ে মাটিতে ডান্ডা দু'বার মেরে আওয়াজ করেন। এমন সময় বাংলোর অন্য এক চৌকিদার টর্চের আলো ফেলে বাইরের দিকে তাকাতেই দেখেন যে কোনও এক জন্তু যেন চলে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে গর্জন। রাতের অন্ধকারে নিমেষে ঘটে যাওয়া কাণ্ড ঘিরে তখনও তাঁরা তিনজন সন্দিহান ছিলেন।
এরপর বাংলোর সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হয়। আর সিসিটিভি ফুটেজেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। দেখা যায়, একটি চিতা বাঘ বাংলোর আশপাশ দিয়ে ঘুরছিল। ততক্ষণে বনদফতরকে খবর দেন অধ্যাপক। রাত তিনটে নাগাদ ছুটে আসেন বনদফতরের কর্মীরা। সিসিটিভি ফুটে অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে সেই সময় চিতা বাঘই উপাচার্যের বাংলোতে বা তার আশপাশে ঘোরাফেরা করে। তবে বনদফতরের কর্মীরা যতক্ষণে এসেছিলেন, ততক্ষণে বাঘকে আর ওই জায়গায় পাওয়া যায়নি! তবে উপাচার্যের বাংলোতে এই এলাকায় বাঘের প্রবেশ নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও এমন বহু ঘটনা ঘটে গিয়েছে ভোজ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায়।