হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসবকে ঘিরে এখন পুজো কমিটিগুলির ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রতিমা তৈরিতেও সমানভাবে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। তবে সেই চিত্রটা শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলাতে নয়, ওপার বাংলাতেও দুর্গাপুজোকে ঘিরে একই রকম ব্যস্ততা রয়েছে। গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩১ হাজার দুর্গাপুজো হয়েছিল। আর এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বেড়েছে এক হাজারেরও বেশি। এবছর বাংলাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮ টি দুর্গাপুজো হবে। আর সেই দুর্গাপুজোকে ঘিরে পুজ কমিটির অমৃত শিল্পীদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যস্ততাও তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: ২২৪ বছরের দুর্গাপুজো, সংস্কৃতি, আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিশে আছে ইতিহাস
গত বছর বাংলাদেশের দুর্গাপুজোয় যে ভয়াবহ তাণ্ডব চলেছিল তার স্মৃতি এখনও টাটকা রয়েছে। তাই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবার একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। নিরাপত্তার উপরে অনেকটাই বেশি জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। পুজো মণ্ডপগুলিকে ঘিরে এবার থাকছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপে থাকবেন পুজো কমিটির সদস্যরা। দফায় দফায় মণ্ডপ পাহারা দেবেন তারা। এছাড়াও থাকছে আধা সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা। পাশাপাশি পুলিশ লাগাতার মোবাইল ভ্যানে পুজো মণ্ডপ টহল দিয়ে বেড়াবে। এছাড়াও প্রতিটি পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাস। সেইসঙ্গে, পুজো কমিটিগুলিকে স্থানীয় ওসি এবং পুলিশ সুপারদের নম্বর রাখতে বলা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সরাসরি সেই নম্বরে ফোন করে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন তারা। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা বাংলাদেশের প্রতিটি পুজো কমিটিগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও পুজোর কয়েকটা দিন মণ্ডপে অবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহেরও আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন।