জঙ্গলের জীবনে মানাতে পারছে না। সুন্দরী বাঘিনীকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভূপালের চিড়িয়াখানায়। সেখানকার খোলা খাঁচাতেই বাকি জীবন কাটাবে সুন্দরী।গত বছর মার্চ মাসে ওড়িশা থেকে মধ্যপ্রদেশে আনা হয়েছিল বাঘিনীটিকে। এবার তাকে ভূপালের চিড়িয়াখানায় ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে। কানহা টাইগার রিজার্ভ থেকে ভূপালের চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে তাকে। ৯ বছর বয়সী ওই বাঘিনী এবার থেকে বনবিহারেই থাকবে। বন বিহার নামে এই চিড়িয়াখানায় মূলত মানুষখেকো ও বয়স্ক বাঘেরা থাকে।
২১দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরে তাকে খোলা চিড়িয়াখানায় রাখা হবে। এদিকে গত মার্চ মাসে কানহাতে আনার পরে এটিকে বনের জীবনের সঙ্গে মানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এটি জীবন্ত কোনও শিকার ধরতে পারছে। কিন্তু জঙ্গলের জীবনে ঠিকঠাক মানাতে পারছে না।
ওড়িশাতে খাঁচায় থাকত বলে এটি বার বার মানুষের গা ঘেঁষা হয়ে গিয়েছে। কানহা টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর এসকে সিং জানিয়েছেন, যদি ওই সুন্দরীকে আমরা জঙ্গলে ছেড়েও দি সেটি মানুষের কাছে চলে আসবে। এমনকী বন দফতরের আধিকারিকদের উপর হামলাও চালাতে পারে।
এরপর মধ্যপ্রদেশ বনদফতর সিদ্ধান্ত নেয় সেটিকে চিড়িয়াখানাতেই রাখা হবে। আন্তঃরাজ্য বাঘ বিনিময়ের অঙ্গ হিসাবে ওড়িশায় দুটি বাঘ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মহাবীরকে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয়েছিল। সুন্দরীও মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন গ্রামবাসীরা। এরপর ওড়িশা সরকার সুন্দরীকে খাঁচাবন্দি করে ফেলেছিল। সেটিকেই ফেরানো হল এবার।