কমপক্ষে পাঁচটি সিংহের ‘জাত্যাভিমানে’ আঘাত হানল এক পুঁচকে কাঁকড়া। যেটির দৈর্ঘ্য মেরেকেটে চার ইঞ্চি। আর কিছু করতে পারল না ‘জঙ্গলের রাজারা’। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এমনিতেই ছোটো হোক বা বড়ো - বিড়ালজাতীয় যে কোনও প্রাণীর মধ্যে কৌতূহলের অভাব নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম জনপ্রিয় ক্রুগার জাতীয উদ্যানের শেয়ার করা ইউটিফব ভিডিয়োয় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি পুঁচকে কাঁকড়ার হাঁটাচলা, সেটি কী করছে, তা দীর্ঘক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করছে একপাল সিংহ। যা দেখে মজেছেন নেটিজেনরা।
দু'মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োটি মালামালা প্রাইভেট গেম রিজার্ভে তোলা হয়েছে। ৩৩,০০০ একর এলাকায় বিস্তৃত সেই রিজার্ভ এশিয়ার অন্যতম পুরনো এবং দীর্ঘতম। বনকর্মী রুগিয়েরো ব্যারেটো এবং রবিন সিওয়েলের তোলা সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, বালির প্রান্তরের উপর দিয়ে হেঁটে চলেছে একটি কাঁকড়া। সেটির দিকে একেবারে তীক্ষ্ম দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে একপাল সিংহ। খুদে খুদে পায়ে বালির উপর কাঁকড়া নিজের খেয়াল মতো ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে। অসীম কৌতূহলে ‘জঙ্গলের রাজারা’ সেটির পিছন-পিছন যেতে থাকে। সেই খুদে প্রাণীটি আদতে কী, তা বোঝার জন্য গন্ধও শুঁকতে থাকে তারা।
গত ২৯ জুনের শেয়ার করা ভিডিয়োর 'ভিউ' ইতিমধ্যে ২০১,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। লাইক পড়েছে ১,৮০০-এর বেশি। এসেছে প্রচুর কমেন্টও। সিংহরা কী ভাবছিল, তা নিয়ে এক নেটিজেন লেখেন, ‘এই জিনিসটা দেখ। সেটি পুরোপুরি চোয়াল পেয়েছে, সেখানে ওদের থাবা থাকার কথা ছিল।’ অপর এক ইউটিউব ব্যবহারকারী লেখেন, ‘সিংহ : তোমরা বিশ্বাস করবে না যে আমরা কী দেখেছি। একটা ইউসিও (আনআইডেন্টিফায়েড ক্রলিং অবজেক্ট)।’ অপর একজন বলেন, ‘জীবন চলে গেলেও সেটি (কাঁকড়া) ক্র্যাবি প্যাটির গোপন রেসিপি দেবে না।’