সদ্যই বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদে (বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) সাফল্য মিলেছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই তিওয়া স্বশাসিত পরিষদে উঠল গেরুয়া ঝড়। ৩৬ টির মধ্যে ৩৪ টি আসনে জয়লাভ করল বিজেপি। এমনটাই দাবি করলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
শনিবার বিকেলের দিকে একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘কী দারুণ দিন। অসমের মানুষ আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির উপর আস্থা রেখেছেন। কারণ তিওয়া স্বশাসিত পরিষদের ৩৬ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। মানুষ এবং অসম বিজেপির দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কর্মকর্তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অভিনন্দন।’
তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ১৬ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদ (এজিপি) একটি আসনে এগিয়ে আছে। আপাতত ব্যালট পেপারে গণনা চলছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে আসনগুলিতে গেরুয়া আবির উড়েছে, সেগুলির অধিকাংশে কংগ্রেসকে হারিয়েছে বিজেপি। তিনটি আসনে নির্দল প্রার্থীকে হারিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঘোবা আসন নিজের ঝুলিতে পুরেছেন বিজেপির মণিরাম পাতার। একাধিক আসনে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থীরা। নওগাঁ, মরিগাঁও, কামরূপ এবং হোজাই জেলা নিয়ে বিস্তৃত সেই স্বশাসিত পরিষদের কোনও আসনেই এগিয়ে নেই কংগ্রেস।
আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে বড়োল্যান্ড এবং তিওয়া স্বশাসিত পরিষদে সাফল্য বিজেপিকে রীতিমতো অক্সিজেন জোগাবে। সম্প্রতি ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) এবং গণ সুরক্ষা পার্টির (জিএসপি) সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোর্ড গড়েছে বিজেপি। ১৭ টি আসন পেয়ে বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলেনি। তারইমধ্যে ফলাফল ঘোষণার পর বিপিএফ এবং কংগ্রেসের এক জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে চলে আয়সেন। তার ফলে বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১।