ঢাকায় হিন্দু ব্যবসায়ীর ওপরে হামলা। এরই সঙ্গে সেই ব্যবসায়ীর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সোনার গয়না ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত ২৩ জানুয়ারি গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকায়। ঘটনায় জখম স্বর্ণব্যবসায়ীর নাম সজল রাজবংসী। তাঁর বয়স ৩৭ বছর। সজলকে পায়ে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে থাকা প্রায় ৮০০ গ্রাম সোনা এবং ৪ লাখ টাকা নগদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে জখম অবস্থায় সজলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (আরও পড়ুন: প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হল বাংলাদেশি তরুণীকে, দেহ মিলল কর্ণাটকের লেকের পাশে)
আরও পড়ুন: ফের সংখ্যালঘু রক্ত ঝরল বাংলাদেশে, হিন্দু পড়ুয়াকে নৃশংস ভাবে খুন খুলনায়
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, জখম সজল রাজবংসী ঢাকার কামরাঙ্গিচর এলাকায় একটি সোনার দোকানের মালিক। তাঁর সোনার দোকানের নাম - ইতি জুয়েলার্স। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে তিনি নিজের বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর কাছে ব্যাগে ৮০০ গ্রামের ওপরে সোনা এবং চার লাখ টাকা নগদ ছিল। তাঁর বাইক হাজারিবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে ৪ থেকে ৫ জন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী হামলা চালায় সজলের ওপরে। তারা প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়ে। তারপর সজলের বাঁ পায়ে গুলি করে তাঁর থেকে সোনা ও টাকা ভরা ব্যাগটা ছিনিয়ে নেয়। রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সজলকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনের বড় পদক্ষেপ, ইউক্রেনের তলা থেকে মই টেনে নিল আমেরিকা)
আরও পড়ুন: '…ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ', শঙ্কায় ঢুবে পড়শি দেশের সংবাদ সম্পাদক
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সজলের ছোটভাই জয় রাজবংশী বাংলদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন আমার দাদা । বাড়ির কাছাকাছি এলে কয়েকজন দুষ্কৃতী দাদার বাঁ পায়ে গুলি করে। সেই সময় তাঁর কাছ থেকে ৭০ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত দাদাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।' এদিকে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মহম্মদ ফারুক। তিনি জানান, সজলকে রাজ সোয়া ১২টা নাগাদ নিয়ে আসা হয়েছিল ঢাকা মেডিক্যালে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত কোনও দুষ্কৃতীকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি সেই সোনা ও টাকা। উল্লেখ্য, বিগত দিনে বাংলাদেশে হিন্দু ব্যবসায়ীদের ওপরে ক্রমাগত হামলা হয়ে চলেছে। সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। যদিও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য, এগুলি ধর্মীয় কারণে ঘটছে না। তবে সরকারি বয়ান যাই হয়ে থাকুক না কেন, হামলা যে থামছে না, তা স্পষ্ট। এই আবহে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।