ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। মঙ্গলবার অমরপুরে তৃণমূলের সভা ছিল। সেই সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। আহত হয়েছেন অনেকে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির।
এদিন তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, অমরপুরের নতুন বাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, অমরপুর থেকে দু'কিলোমিটার দূরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। কুণাল ঘোষের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, ‘আগরতলা থেকে অমরপুর অনেকটাই দূর। সেখানে তৃণমূলের একটা সভা ছিল। তার জন্য অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সভায় আসার পথে বিজেপি তৃণমূলের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মামুন খান আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁকে এমনভাবে মেরেছে যে কলকাতায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও অনেকেই আহত হয়েছে। পুলিশ এখানে নীরব দর্শক হয়ে ছিল। তৃণমূলের সমর্থকদের ওপর যেখানে হামলা চালানো হয়, তার অনেক আগেই আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।’
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতা এদিন জানান, 'তৃণমূলের কর্মীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনওরকম প্ররোচনায় যেন তাঁরা পা না দেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে থানা ঘেরাও করেছেন। তবে ওই জায়াগায় আমাদের যাওয়ার উপায় নেই। আমাদের পুলিশ আটকে দিচ্ছে। এর আগেও যখন ওখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছি, তখন আটকে দিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা হওয়ার পর থেকে একের পর এক হামলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করেনি।' ত্রিপুরার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, 'ওখানে ঠিক কী ঘটেছে, তা আমরা এখান থেকে বলতে পারব না। ওখানে বিজেপি সরকার রয়েছে। তারাই বলতে পারবে।'
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরায় আসবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুইট করে এ কথা জানান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সন্ধ্যায় তিনি টুইট করেন, ‘আগামী ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরা সফরে আসছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় জনসভা করবেন তিনি’। কুণাল আরও লেখেন, ‘ত্রিপুরা জেগে উঠেছে। ছলে-বলে-কৌশলে বাধা দিচ্ছিল বিজেপি। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে’। তিনি লিখেছেন, ‘৩১ অক্টোবর বিপ্লব দেব সরকার বুঝবে, এ বার আসল বিপ্লব শুরু। ঝড়ের নাম অভিষেক।' উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও রাজ্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরায় দায়িত্বে থাকা নেত্রী সুস্মিতা দেবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তখনও তৃণমূলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।