নভেম্বর মাসের শেষে ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগে ত্রিপুরার মাটিতে ফের 'আক্রান্ত' হল তৃণমূল। এবার তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরভোটের আগে 'লাগামহীন সন্ত্রাসের' অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত বুধবার রাতে আগরতলা পুরনিগমের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অপর্ণা বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়িতে ঢুকে মারধর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছেন অপর্ণা বিশ্বাসের ছেলে। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী ভয় দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের ওপরও হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেইসঙ্গে গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। কিছুদিন আগরতলায় সিপিএমের এক প্রার্থীর বাড়িতেও এই একইভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে।
তৃণমূল প্রার্থীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানান, ‘বারবার প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু এত চাপ সত্ত্বেও আগরতলায় আমরা ৫১টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি। এখন যাতে প্রচার করতে না পারি, সেজন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। সব দেখেশুনে প্রশাসন নীরব।’
যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক জানিয়েছেন, ‘আগরতলায় ৫১টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছে। তার মানে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে। সন্ত্রাস করে আমাদের ভোটে জিততে হয় না। সারাবছর মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ত্রিপুরায় দলীয় বৈঠকে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, তৃণমূলের কর্মীদের ওপর হামলা হলে দলের কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। কোনও কর্মীই যেন নিজেকে একা মনে করে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দলের কর্মীরা যেন ঝাঁপিয়ে পড়েন।