আগরতলা পুরনিগমের নির্বাচনে সবকটি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে তৃণমূল। কিন্তু ত্রিপুরার অন্য পুরসভায় অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। তবে অন্যদিকে অন্য বিরোধী দল বাম, কংগ্রেস শিবিরের অবস্থাও ভালো নয়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এবারের পুর নির্বাচনে তৃণমূল আগরতলা পুরনিগমকেই ফোকাস করা হয়েছে। এবারে আগরতলা পুরনিগমে ৫১টি আসনের মধ্যে ৫১টিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। এবারে প্রার্থীদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তৃণমূল। তবে দেখা গিয়েছে, ত্রিপুরায় যে অন্যান্য পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ ও ৬টি নগর পঞ্চায়েত নিয়ে মোট ৩৩৪টি আসন রয়েছে। ৩৩৪টি আসনের মধ্যে সব দল মিলিয়ে মোট ৮২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারমধ্যে ১২৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, মোট ৩৩৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির থেকে জমা পড়েছে ৩৩৬টি। তবে তৃণমূলের থেকেও এবারে কম সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে ১০১টি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেছে।
অন্যদিকে যে রাজনৈতিক দল ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন চালাল, সেই বামেরাও এবারে সব আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। সিপিএম ২১৪টি, সিপিআই ৬টি, আরএসপি ২টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর, রানির বাজার পুর পরিষদে একটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরা। তবে তৃণমূলের প্রার্থী দিতে না পারা প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, ‘আগরতলায় সব আসনে প্রার্থী দেওয়াটাই তাঁদের কাছে জয়ের প্রথম ধাপ। নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ তাঁর মতে, বার বার বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে বিজেপি। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মতে, বিরোধীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, তাই তাঁরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না।