চলতি ২০২১ সাল আজ শেষ হয়ে যাবে। রাত পোহালেই নতুন বছর ২০২২। তবে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সেটা একুশের বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন থেকে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন—সবেতেই জয়ের হাসি হেসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার লক্ষ্য ২০২৪ সাল। এই সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই দলকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এবার বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
কোন কোন রাজ্যে পালন করা হবে প্রতিষ্ঠা দিবস? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোট ৬টি রাজ্যে পালন করা হবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেগুলি হল, গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাত। তবে এই রাজ্যগুলিতে প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে ভার্চুয়ালি। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যগুলিতে সংগঠন মজবুত করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে সংগঠন ততটা মজবুত নয়, যতটা বাকি রাজ্যগুলিতে মজবুত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা অন্যান্য রাজ্যে একাধিকবার সফর করেছেন। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে সেই ছবি দেখাও গিয়েছে। এখম মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হরিয়ানায় প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানওয়ারকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গুজরাত–উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন ততটা মজবুত নয়। তবে সেখানে মজবুত করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তৃণমূল সুপ্রিমোর ২১ জুলাইয়ের ভাষণও এইসব রাজ্যে পৌঁছে দিতে নেমেছিলেন নেতারা। এই বছরই তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের প্রচারের তালিকায় জুড়েছিল গুজরাতের নাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১ জানুয়ারি। তাই অন্যান্য রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা–নেত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভার্চুয়াল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করার জন্য।