রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ ও আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামিদিনে কোন পথে এগিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তারইমধ্যে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়া নিয়ে আজ কালো পোশাক পরে আসেন কংগ্রেস সাংসদরা। যদিও সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সংসদের অধিবেশন কয়েক মিনিটের বেশি চলেনি। দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। বিকেল চারটে পর্যন্ত সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায়।
সোমবার সংসদ ভবনে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল, সিপিআইএম, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিআই, এনসিপি, কেরল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ), শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরের অংশ), আরজেডি-সহ একাধিক দলের সাংসদরা। রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পরে আদানি ইস্যুতে কোন পথে এগিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠক চলে।
বৈঠকে তৃণমূলের যোগদানের প্রসঙ্গে খাড়গে বলেন, ‘যাঁরা (আমাদের) সমর্থন করছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেজন্য গতকালও আমি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। গণতন্ত্র রক্ষা করতে এবং মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে যাঁরা এগিয়ে আসবেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যাঁরা আমাদের সমর্থন করছেন, তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি আমরা।’
তারইমধ্যে সোমবার সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। কালো পোশাক পরেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেসের সভাপতি খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘কেন আমরা কালো পোশাক পরেছি? আমরা তুলে ধরতে চাই যে দেশে গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উনি প্রথমে স্বশাসিত সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারপর যাঁরা ভোটে জিতেছেন, তাঁদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের সরকার গড়ে তুলেছে (বিজেপি)। তারপরও যাঁরা মাথানত করতে রাজি নন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই ব্যবহার করছেন’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)