একুশের নির্বাচনের পরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা কায়েম করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য তৈরি হয় রূপরেখা। স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে রাজ্যে পা রাখব সেই রাজ্য দখল করব। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গোয়ায় গিয়ে সেখানের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা। এমনকী গোয়ায় অনেক রাজনৈতিক নেতারাও অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। গায়ক লাকি আলি থেকে প্রাক্তন সাঁতারু তথা অভিনেত্রী নাফিসা আলির সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। গোয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ‘বেঙ্গল টাইগ্রেস’ বলে উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। নাফিসা লিখেছেন, ‘আমি খুশি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ইতিমধ্যেই গোয়ার গ্রাউন্ড রিপোর্ট নিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই–প্যাক। এখানে বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। সেখানে গিয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারিরা। বিধায়ক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও গিয়েছিলেন। এখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন থেকেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে লোকসভা নির্বাচনে বেগ দেওয়া যাবে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় পর পর যদি বিজেপিকে হারানো যায় তাহলে লোকসভা নির্বাচনে তোলপাড় করে দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় গোয়ানিজরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তাঁদের রাজ্যের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে। সুতরাং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।