কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদের বাইরে যন্তর মন্তরের সামনে কিষান সংসদ বসিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ১৪টি বিরোধী দলের নেতৃত্ব আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন। কিন্তু সেই দলে দেখা গেল না তৃণমূলের কাউকে। তবে তাঁরাও গিয়েছিলেন যন্তর মন্তরের সামনে।তাঁরাও দেখা করেছেন আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃত্ব যাওয়ার আগেই তাঁরা দেখা করে এলেন আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী জাতীয় ক্ষেত্রে রাহুলের নেতৃত্বে তৃণমূল চলবে না সেই বার্তাটাই এদিন বুঝিয়ে দিল তৃণমূল?
শুক্রবার দোলা সেন, প্রসূন বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অপরূপা পোদ্দার যন্তর মন্তরে গিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন। এনিয়ে টুইটও করেন ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, ‘তিন সদস্যের টিম যন্তরমন্তরে কিষান সংসদে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থাকার ব্যাপারে ফের আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। এটা আমাদের দাবি। ’
এদিকে এদিন অধিবেশন শুরুর আগে ১৪টি বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এরপর তাঁরা যন্তরমন্তরে গিয়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই দলে তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ‘কালা কানুনের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হয়েছে। আমরা পেগাসাস নিয়েও আলোচনা চাইছি। কিন্তু তারা তা হতে দিচ্ছে না। মোদী সমস্ত ভারতবাসীর ফোনে আড়ি পেতেছিলেন।’ এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে দেশ জুড়ে মোদী বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করার চেষ্টা চলছে। এনিয়ে তৃণমূলও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এদিন কংগ্রসের সংসর্গ এড়িয়ে তৃণমূল কী বার্তা দিতে চেয়েছে সেটাই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতির আঙিনায়।