মৃত সাধারণ নাগরিকদের পরিবারের ‘পাশে’ দাঁড়াতে নাগাল্যান্ডে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবারই পাঁচ সদস্যের সেই প্রতিনিধি দল ‘ভুলবশত’ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত সাধারণ নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। যে প্রতিনিধি দলে আছেন সাংসদ সু্স্মিতা দেব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার শান্তনু সেন এবং তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব।
রবিবার দুপুরেই নাগাল্যান্ডের ঘটনার নিন্দা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের দিকে তৃণমূলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘আপনাদের জানানো হচ্ছে যে মনের ওটিঙে হৃদয়বিদারক ঘটনায় মৃত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আগামিকাল (সোমবার) নাগাল্যান্ডে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।’
কী হয়েছিল মনের ওটিঙে?
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের (এনএসসিএন) একটি গোষ্ঠীর সদস্য ভেবে 'ভুলবশত' একটি পিক-আপ ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। মৃত্যু হয় ছ'জনের। কিন্তু পিক-আপ ভ্যানে স্থানীয় বাসিন্দারা ছিলেন। যাঁরা কয়লা খাদান থেকে কাজ করে ফিরছিলেন। বাড়ি না ফেরায় তাঁদের খোঁজ শুরু করেন স্থানীয় যুবক এবং গ্রামবাসীরা। ঘিরে ফেলা হয় সেনার গাড়ি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেনার একাধিক গাড়ি। 'আত্মরক্ষায়' গুলি চালায় সেনা। তার জেরে আরও সাত নাগরিকের মৃত্যু হয়। অসম রাইফেলসের শিবিরের এলাকায় হামলা চালান একদল লোক। সেই সময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে দু'জন।
তারইমধ্যে রবিবার সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্ভাব্য গতিবিধির খবর মিলেছিল। তার ভিত্তিতেই অভিযানের পরিকল্পনা হয়েছিল। সেইসঙ্গে জানানো হয়, তিরুঙে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত সেনা। ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’ হচ্ছে। আইন মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। সেই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক জওয়ানের।