বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > TMC Demands Adani's Arrest: নির্মলাকে চিঠি দিয়ে আদানিকে গ্রেফতারের দাবি তৃণমূল সাংসদদের, গেলেন ED-র অফিসেও

TMC Demands Adani's Arrest: নির্মলাকে চিঠি দিয়ে আদানিকে গ্রেফতারের দাবি তৃণমূল সাংসদদের, গেলেন ED-র অফিসেও

নির্মলাকে চিঠি দিয়ে আদানিকে গ্রেফতারের দাবি তৃণমূল সাংসদদের

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে দ্রুত নিম্নমুখী হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার শেয়ার।

আদানিকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে ধনকুবেরের বিরুদ্ধে। আদানি ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। কংগ্রেসের সঙ্গে গলা না মেলালেও আদানিদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। এমনকী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছে আদানির বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এই আবহে তাজপুরের বন্দরের কাজ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে এবার অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে গৌতম আদানির গ্রেফতারির দাবি করে চিঠি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের 'নৈতিক জয়' আদালতে, বড় নির্দেশ হাই কোর্টের)

আজ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের নেতৃত্বে একটি দল সংসদ ভবনে নির্মলা সীতারামনের অফিসে হাজির হয়। সেখানে ‘অ্য়ারেস্ট আদানি’ লেখা টুপি নিয়ে যান তাঁরা। সেই টুপি পরে অর্থমন্ত্রীর দফতরে গৌত আদানির গ্রেফতারির দাবি তুলে চিঠি জমা দেন তাঁরা। এদিকে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল ইডির ডিরেক্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায় আজ। যদিও ইডি প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, সেখানেও আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের দাবি তুলতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আদানিকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলতেন তৃণমূল সাংসদরা। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন বলেন, 'আদানিকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা চলছে। ১ লক্ষ ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির জন্য আদানিকে গ্রেফতার করা হোক। দেশের মানুষ বাঁচুক। এলআইসি, এসবিআই-ও বেঁচে থাকুক। এটাই আমাদের দাবি।'

আরও পড়ুন: ২৯ মার্চ ডিএ ধরনামঞ্চের পাশেই হবে তৃণমূলের যুবদের সভা? কী ভাবছে ঘাসফুল শিবির

উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে দ্রুত নিম্নমুখী হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার শেয়ার। এদিকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে এলআইসি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থারও। এসবিআই সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণও নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তাছাড়া একগুচ্ছ হেভিওয়েট সরকারি প্রকল্পের বরাত রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। এই আবহে আদানি ইস্যুতে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে না হেঁটে একলা চলো নীতিতে এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির।

বন্ধ করুন