আগরতলায় নিহত তৃণমূল নেতা মুজিবর ইসলাম মজুমদারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মুজিবরের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুললেন তৃণমূল নেতারা।
জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মুজিবরের বাসভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুজিবরের বাড়িতে চড়াও হয়। মুজিবরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুজিবরকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ৩ জন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে মুজিবর ও এক ছাত্র নেতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদের মধ্যে ছাত্র নেতা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও মুজিবর সুস্থ হননি। মুজিবরকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুজিবরের শরীরে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় তাঁকে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। পরে ১৮ ডিসেম্বর শর্করার পরিমাণ কমলে মুজিবরের অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তাতেও তাঁকে রক্ষা করা গেল না। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
বাম আমল থেকে তৃণমূলের সংগঠন ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে মুজিবরের অবদান উল্লেখযোগ্য ছিল বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে এক সময় ভোটে পর্যন্ত লড়েছিলেন তিনি। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তাও ছিল। এই ধরনের নেতার মৃত্যুতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন যে ধাক্কা খেল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন বাঁধাঘাটে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান এই রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দলের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনরা। সেই অনুষ্ঠানে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন, আশিস সাহাও ছিলেন।