ত্রিপুরার একটি থানায় হাজিরা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। আগরতলা নর্থ থানা বেরিয়ে আসার সময় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মাথা ঘুরে যায়। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
ত্রিপুরায় ঘাসফুল শিবিরের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে গত মাসে খোয়াই থানায় ধরনায় বসেছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কুণাল। সেই মামলায় মঙ্গলবার খোয়াই থানায় হাজির দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল নেতার। তৃণমূলের দাবি, সকালে খোয়াই থানার তরফে ফোন করা হয়। জানানো হয়, কিছু কাজ থাকায় আগরতলা নর্থ থানায় যাবেন খোয়াই থানার আধিকারিকরা। তাই কুণালকে আগরতলা নর্থ থানায় আসতে বলা হয়। সেইমতো থানায় যান কুণাল। কিন্তু সকাল থেকেই শরীর ভালো ছিল না তাঁর। সকালে একবার বমিও করেন। অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাও থানায় হাজিরা দিতে যান। হাজিরা-পর্ব মিটে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসার পর আবারও অসুস্থ পড়েন কুণাল। তাঁর মাথা ঘুরে যায়। দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত কুণালের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাঁর স্যালাইন চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কুণালের রক্তচাপ কম। সুগার বেশি। এমআরআই করা হয়েছে।
অসুস্থ হয়ে পড়লেও বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কুণাল। হাসপাতাল থেকেই টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ওদের (পড়ুন বিজেপি) অসভ্য আইটি সেল জেনে রাখুক, সকাল থেকেই আমি অসুস্থ। তারপরেও থানায় গিয়েছি। কাজ সেরেছি। আইও (তদন্তকারী অফিসার) নোটিশের সার্কুলারে লিখে দেন আমি পুরো সহযোগিতা করেছি। তারপর অসুস্থ হই। সুগার বেশি। রক্তচাপ কম।পুলিশের জেরায় অসুস্থ হওয়ার জিনিস আমি নই। যাঁরা গ্রেফতারির ভয়ে ওদিকে যান, তাঁদের আবার কথা।’