ত্রিপুরা নিয়ে অনেক আশা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তবে রবিবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই সেই আশায় বর্ষাকালের বর্ষণ নামে। এর আগে পুরভোটে অন্তত একটি ওয়ার্ড দখল করতে পেরেছিল তৃণমূল। তবে বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবি হল। সবকটি আসনেই দলীয় প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এই খারাপ ফলের ‘কারণ’ ব্যাখ্যা করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘অল্প সময়, অল্প সামর্থ্য নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম। তার সঙ্গে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এটা যে উপনির্বাচন সেটাও মাথায় রাখতে হবে। তবে ফল যেমনই হোক ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কথা অস্বীকার করা যাবে না।’
কুণাল এদিন আরও বলেন, ‘ত্রিপুরার উদীয়মান শক্তি তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপিও এখানে তেমন শক্তিশালী ছিল না। সুতরাং, এই উপনির্বাচনের ফল দেখে ভবিষ্যতের কথা কিছুই বলা যাবে না। সবে ফল প্রাকাশিত হয়েছে। দলের কোথায় কী ত্রুটি ছিল সেটা নিয়ে খুব তাড়াতাড়িই দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পর্যালোচনা করবেন।’
উল্লেখ্য, কোনও আসন জেতা তো দূরের কথা, কোনও আসনে তৃতীয় স্থানেও আসতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে দলের হাল এতই খারপ যে চারটির মধ্যে তিনটি আসনে তো ১০০০ ভোটর গণ্ডিও পার করেনি তারা। টাউন বড়দোয়ালী আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৯৮৬ ভোট। এই কেন্দ্রে ১৭,১৮১ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আগরতলা আসনে তৃণমূলের পান্না দেব পান ৮৪২ ভোট। এই কেন্দ্রে ১৭,৪৩১ ভোট পেয়ে জয়ী কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্র পেয়েছেন মাত্র ৪৬৯ ভোট। একমাত্র যুবরাজনগর কেন্দ্রে ১০০০ ভোটের গণ্ডি পার করেছে ঘাসফুল শিবির। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেব পেয়েছেন ১০৭৩ ভোট।