এবার বামেদের সাহায্য চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে বাংলায় নয়। এই সাহায্য চাইলেন ত্রিপুরার জন্য। একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তখনও দেখা গিয়েছিল বামেদের ভোট যাতে ঘাসফুলে এসে পড়ে তার জন্য ব্রাত্য বসুর অনুরোধ। এবার নিশানা করা হয়েছে উত্তর–পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাকে। সেখানে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানে ঘাসফুল ফোটাতে সেখানকার বাম নেতাদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসু।
ইতিমধ্যেই সেখানে বিজেপি এবং সিপিআইএমের সংঘর্ষ খবরে উঠে এসেছে। তুমুল সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ত্রিপুরার বামপন্থী নেতাদের উদ্দেশ্যে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এখানকার বাম নেতাদের সঙ্গে ত্রিপুরার বাম নেতাদের একটা চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাঁরা গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি বোঝেন। অনেক বেশি বাস্তববাদী। তাঁরা জানেন একমাত্র বিজেপির মোকাবিলা করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তাঁদের কেউ কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চান আসবেন। কেউ আসতে চাইলে স্বাগত।’
এখন তৃণমূল কংগ্রেস তেড়েফুঁড়ে লেগেছে ত্রিপুরায়। আইপ্যাকের টিম নামানো থেকে যুবনেতাদের আন্দোলনে পাশে থাকছে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা। স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পা রেখে আন্দোলন করেছেন। গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের জামিন দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছেন। দফায় দফায় সেখানে যাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার বামেদের আহ্বান বাড়তি সংযোজন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বামেদের সঙ্গে এখানে জোট হচ্ছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
এই রাজ্যে ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে দিবস’ পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ত্রিপুরা যান ব্রাত্য বসু, অপরূপা পোদ্দার–সহ বেশ কয়েকজন। ত্রিপুরার আট জেলাতেই ‘খেলা হবে দিবস’ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখান থেকে যাঁরা ওখানে উৎপাত করতে গিয়েছিল, তাঁরা এই অসভ্যতা ও হিংসার রাজনীতি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দিতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গে কোন নিয়মকানুন নেই, যে যা ইচ্ছা করতে পারেন। ত্রিপুরাতে নিয়মকানুন রয়েছে, পুলিশ আছে, সরকার আছে। যাঁরা ওখানে গিয়ে বিনা কারণে অশান্তি করবে, তাঁরা গ্রেফতার হবেন।’