‘ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা!’ টুইটে এই কথাটি লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ ১৫–১৬ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ৷ আর তা থেকেই সংঘাত শুরু। তারপরই ট্যুইটারে বিপ্লব দেব সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেকের অভিযোগ, তাঁকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্যই সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷
এখানেই শেষ নয়। তিনি ট্যুইটারে আরও লিখেছেন, ‘বিজেপি মৃত্যু ভয় পাচ্ছে৷ আমার ত্রিপুরায় ঢোকা আটকাতে বিপ্লব দেব সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন৷ আপনি যতই চেষ্টা করুন, আমাকে আটকাতে পারবেন না৷ তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে আপনার ভয়েই প্রমাণিত, সরকারে আপনার দিন ফুরিয়ে আসছে৷ সত্যিটা সবাই জানবে। এই ভয় দেখে আমার ভাল লাগছে৷’
বেশ কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলায় মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ত্রিপুরা পুলিশ পাল্টা চিঠি দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস যে পথ ধরে পদযাত্রা করবে সেই একই পথে এবং একই সময়ে অন্য একটি রাজনৈতিক দল আগে থেকে মিছিলের অনুমতি নিয়েছে৷ তাই আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া যাবে না৷
বুধবার ১৫ তারিখ মিছিলের অনুমতি না পেয়ে ১৬ তারিখ মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাও খারিজ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, ১৭ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় আগের দিন থেকে ব্যস্ত থাকবে পুলিশ৷ তাই ১৬ সেপ্টেম্বর মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়৷ ত্রিপুরা জুড়ে ধুমধাম করে বিশ্বকর্মা পুজো হয়৷ তাই যান চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়৷ তাই অনুমতি দেওয়া করা সম্ভব নয়৷ ত্রিপুরা পুলিশের এই দুটি চিঠিই নিজের ট্যুইটের সঙ্গে পোস্ট করেছেন অভিষেক৷
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘চিঠিতে পুলিশ বলছে গোটা আগরতলা শহরটাই নাকি মিছিলের জন্য অন্য কোনও দলকে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ সরকারিভাবে বলে দিক না গোটা আগরতলাটাই পুলিশ বিজেপির হাতে তাঁরা তুলে দিয়েছে৷ এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে গ্রহণ করেছেন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা জনসমুদ্রে পরিণত হত৷ তাই করতে দেওয়া হচ্ছে না।’