সামনেই উপনির্বাচন। তা নিয়ে এখন জোর প্রচার শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। তারপরই সেখানে নয়া দলীয় কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২০২৩ সালে এখানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে ক্ষমতায় আসতে চায় ঘাসফুল শিবির। তাই প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট কার্যালয়। এখন রোজ দলের নেতা–কর্মী বাড়ছে ত্রিপুরায়। বাংলার নেতারাও সেখানে গিয়ে প্রচার করছেন।
কবে উদ্বোধন হবে নয়া কার্যালয়ের? এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব, সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শত্রুঘ্ন সিনহা–সহ একাধিক শীর্ষনেতারা পা রেখেছেন। তাই একটি দলীয় কার্যালয়ের প্রয়োজন। এখানে একটা দলীয় কার্যালয় দ্রুত তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জুলাই মাসের শুরুতেই সেই দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর।
ঠিক কীভাবে চলছিল সংগঠনের কাজ? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগরতলা শহরের এক পাঁচতলা হোটেলে কাজ চলছিল। কিন্তু সেই হোটেলে প্রথমে থাকতে দেওয়া হচ্ছিল না। এমনকী এখানে হেনস্থার শিকার হতে হয় সায়নী ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের। এই হোটেলেই এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, নয় সাংসদ, কুণাল ঘোষ–সহ অনেকেই। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে দলীয় কার্যালয় গঠনের। বনমালীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়িতে একটা অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংগঠন ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এখানে উপনির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা ধরে ধরে বৈঠকের কাজ চলছে। প্রচার থেকে শুরু করে মানুষের কাছে কোন কোন ইস্যুতে পৌঁছতে হবে তার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছেন নেতারা। এই নির্বাচন–পর্ব মিটলেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় এই দলীয় অফিস উদ্বোধনে আসবেন।