পেগাসাসের পর 'টেক ফগ' নিয়ে বাড়ছে বিতর্ক। যা একটি সফটওয়ার বলে দ্য ওয়ারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি উত্থাপন করে ওই 'নিয়ম লঙ্ঘনকারী সফটওয়ার' নিয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়ান।
রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক স্বরাষ্ট্র বিষয়ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। সম্প্রতি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জানান, সম্প্রতি ‘দ্য ওয়্যার’–এ ধারাবাহিকভাবে একটি ‘টক ফগ’ নিয়ে একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ডেরেক আরও লিখেছেন, ওই 'সফটওয়্যার' হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট 'হাইজ্যাক' করতে সক্ষম বলে তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের সফটওয়্যারের বিষয়ে ‘দ্য ওয়্যার’–ই প্রথম খবর প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে পেগাসাস স্পাইওয়ার নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। গত ১৮ জুলাই ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ‘পেগাসাস’ নামে পরিচিত একটি ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী হাজার-হাজার মানুষকে নিশানা করা হয়েছিল। ‘দ্য ওয়ার’-এর প্রতিবেদনে সোমবার দাবি করা হয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। সম্ভাব্য তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল।
যদিও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার ওই প্রতিবেদনগুলিকে ‘মাছ ধরার অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। সঙ্গে দাবি করা হয়েছিল, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈষ্ণব সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট-সহ অতীতে এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সবপক্ষ। এই অভিযোগের কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’