‘ভূতুড়ে ভোটার’ ইস্যুতে আজ, মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপরে চাপ বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল গেল নির্বাচন কমিশনে। আর সেখানে দাবি করা হয়েছে, সঠিক তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে কত ‘ভূতুড়ে ভোটার’ আছে। গতকালই সংসদে এনডিএ সরকারকে চেপে ধরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখন তাঁদের সমর্থন করে পাশে দাঁড়ান কংগ্রেসের সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আর ঠিক তার পরদিন আজ, নির্বাচন কমিশনকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। নির্বাচন কমিশন কদিন আগে জানিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করবে। সেটা কিসের ভিত্তিতে তারা বলেছিল? উত্তর চেয়ে বসল তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য–রাজনীতি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঁধে দেওয়া সুর আছড়ে পড়ে সংসদে। এবার তা আছড়ে পড়ল নির্বাচন কমিশনের দফতরে। ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ঢুকিয়ে দিচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার উপর ভিত্তি করেই ঝাঁপিযে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার আছে তা মেনে নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে তাঁদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এপিক কার্ডে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করতে হবে। সেটা মেনে নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে আজ বিজেপিও গিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
আরও পড়ুন: ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলব’, শুভেন্দুর বিতর্কিত মন্তব্য
আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ, কীর্তি আজাদ। সেখানে এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আর চাপ বাড়িয়েছে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর। আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে যাতে কোনওরকম ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ভোট দিতে না পারে তার জন্য তুমুল আন্দোলনে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতে খানিকটা চাপে পড়েছে বিজেপি। তাই এবার বঙ্গ–বিজেপির প্রতিনিধিদলও সেখানে হাজির হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া সঠিক পদ্ধতিতে করতে হবে। সেটা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের উপর। মানুষের আস্থা হল ভোটার কার্ড এবং ভোটার তালিকায়। সেটা ঠিক না থাকলে আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তার কোনও সদুত্তর নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। তিন মাসের মধ্যে বলছে সমস্যার সমাধান করবে। অথচ কোথায় কত সংখ্যক ভুয়ো ভোটার কার্ড আছে তার তথ্য জানাতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। সঠিক সংখ্যাটা আমরা জানতে চাই।’