কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলার মন্ত্রীদের বৈঠক করার কথা ছিল। তবে ডেপুটি হাইকমিশনারকে দেখা করার অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে এই বৈঠক হচ্ছে না। এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনাকে তিনি ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘দেশের গণতন্ত্রে আঘাত’ বলে সদ্য গঠন হওয়া এনডিএ সরকারকে কটাক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কোন দাবিতে অসম থেকে বার্তা?
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাগরিকা ঘোষ জানান, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলার মন্ত্রীদের বৈঠক আটকাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। তাঁকে যাতে এ বিষয়ে অনুমতি না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। কেন্দ্র অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলার মন্ত্রীদের বৈঠক নোংরাভাবে আটকানোর চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি, জি ২০ সম্মেলনের সময় সব রাজ্য উপস্থিত ছিল। তাহলে এখন কেন কেন্দ্র সরকার এই বৈঠক আটকানোর চেষ্টা করছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।
সাগরিকা আরও অভিযোগ তোলেন, বাংলায় শুধু বিদেশের প্রতিনিধিদেরই নয়, বাংলার মন্ত্রীদের বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীকেও বিদেশ সফরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের অনুমতি না মেলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর তিন তিনবার বাতিল হয়েছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূল সংসদের বক্তব্য, মোদী সরকার নোংরাভাবে এইসব বৈঠক আটকে বাংলার সঙ্গে যা করছে, সেটা নিন্দাজনক। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলার মন্ত্রীদের বৈঠকে বাধা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, কেন বাংলার সঙ্গে এরকম করা হচ্ছে? কেন ডেপুটি হাইকমিশনারকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? তাঁর দাবি, মোদী সরকার সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, সংবিধানের কাঠামোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তার জবাব দিতে হবে। তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, এই সমস্ত বিষয়ের মোদী সরকারকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের তরফে এবিষয়ে জোরদার দাবি জানানো হবে।