দেশের একাধিক বিমানবন্দরে ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ যথেচ্ছ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিমান যাত্রীদের থেকে এই অভিযোগ এখন প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এই অভিযোগকেই হাতিয়ার করে মোদী সরকারকে চেপে ধরল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। নয়াদিল্লির বৈঠকে রীতিমতো সরব হলেন প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। সংসদীয় সূত্রে খবর, পিএসি বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে এভাবে ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ টাকা রোজগার করার জন্য বিমানবন্দরগুলিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কেমন করে? এই টাকা কোথায় যাচ্ছে? কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এবার জবাব তলব করেছে পিএসি।
এদিকে বেঙ্গালুরু, তিরুঅনন্তপুরম, জয়পুর, আহমেদাবাদের মতো বিমানবন্দরে এভাবে যথেচ্ছ টাকা তোলা হচ্ছে বিমানযাত্রীদের থেকে বলে অভিযোগ। তাই সমস্ত বিষয়টি জানাতে দাবি জানানো হয়েছে পিএসি’র বৈঠকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্টও তলব করেছে পিএসি। কোন নীতিতে ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি সংগ্রহ করা হচ্ছে? ডিজি সিভিল অ্যাভিয়েশন, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্থ অফিসারদের কাছ থেকে তা জানতে চান সাংসদ সৌগত রায়। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রুখতে এবার ব্যবহার করা হবে আধুনিক প্রযুক্তি, কড়া বার্তা ব্রাত্যর
অন্যদিকে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের প্রতিবাদের সুরে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদ জানান পিএসি’র সদস্য অর্থাৎ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও। সরকারি আমলারা কেউই সৌগত রায়ের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে বৈঠকের পরে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দমদমের সাংসদ সৌগত রায় নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এভাবে টাকা তোলার কারণ জানতে চেয়েছি। লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এটার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর সেটা আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে এই ব্যাখ্যা।’
এছাড়া এই ঘটনা এখন চারদিকে চাউর হয়ে গিয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও এই বিষয়ে জবাব দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে কি ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে? এই প্রশ্নও এখন উঠতে শুরু করেছে। ১০ দিনের মধ্যে কি ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে? জানতে চান অনেকেই। উত্সবের মরশুমে দেশের সর্বত্র দেদার বিমানের সব শ্রেণির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় বলে অভিযোগ। আর সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে সাফ দাবি জানানো হয়েছে পিএসি’র বৈঠকে। এই লাগামহীন বিমানভাড়া কেমন করে নিয়ন্ত্রণে করা যাবে সেটার উপায় দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককেই। এমনই দাবি তুলেছেন পিএসি’র সদস্যরা।